সকালে আদালতের নির্দেশের (Supreme Court on Delhi Pollution) পর এ দিন বিকেলেই জরুরি ভিত্তিতে উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়া-সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার পরেই স্কুল বন্ধ রাখা এবং সরকারি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম বন্দোবস্তের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী কয়েকদিন সমস্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হবে।
আরও পড়ুন: 'গ্যাস চেম্বার'-এ পরিণত দিল্লি! দূষণ নিয়ন্ত্রণে ফের লকডাউনের পরামর্শ শীর্ষ আদালতের
advertisement
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ কড়া ভাষায় দিল্লি সরকারের সমালোচনা করে জানায়, দিল্লির দূষণের কারণ শুধু ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোই নয়। তার সঙ্গে রয়েছে গাড়ির কালো ধোঁয়া, বাজি পোড়ানো এবং ধুলো। দূষণের জন্য শুধুমাত্র পার্শ্ববর্তী রাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানোকে দায়ী করা যাবে না। শীর্ষ আদালত জানতে চায়, বাজি পোড়ানোর উপরে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, তা কতখানি মানা হয়েছে?
এমনিতে রাজধানী শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ু দূষণ। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের কড়া ধমকের পর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন, ‘উদ্ভুত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য রাজধানীর সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। সরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। আগামী তিনদিন ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর সমস্ত নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে।’
একই সঙ্গে জরুরি দরকার ছাড়া বাড়ি থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আম জনতাকে। বলা হয়েছে, স্কুল বন্ধ থাকলেও চালু থাকবে ভার্চুয়াল ক্লাস।