তবে, আজ যে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করেছিলেন মণীশ। এদিন সকাল সকালই তিনি রাজঘাটে পৌঁছে যান। সেখানে আম আদমি পার্টির একাধিক নেতা কর্মীদের সামনে ছোট্ট কিন্তু আবেগপূর্ণ বক্তৃতা দেন। বলেন, "আমি জেল-কে ভয় পাই না। আসলে বিজেপি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে ভয় পেয়েছে।" তারপরে, সিবিআই অফিসে যাওয়ার আগে নিজের বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গেও সময় কাটান মণীশ।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুল পকেটে ফোন রাখেন? হারাতে পারেন প্রজনন ক্ষমতা, জেনে নিন কোন পকেটে রাখা উচিত ফোন
মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হতেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে দিল্লির পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আম আদমি পার্টির নেতাকর্মীরা। চলতে থাকে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে স্লোগান। বিক্ষোভের ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দক্ষিণ দিল্লিতে জারি হয় ১৪৪ ধারা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে সিবিআইয়ের সদর দফতরের বাইরেও মোতায়েন করা হয় বাহিনী।
গত বছরের অগাস্ট মাসে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে মণীশ সিসোদিয়া-সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। গত ১৭ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিসোদিয়াকে তলবও করা হয়। এছাড়াও তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়ি এবং ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে। শেষে গত বছরের নভেম্বরে এই ঘটনায় প্রথম চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। কিন্তু, সেই চার্জশিটে মণীশ সিসোদিয়ার নাম ছিল না।
এর মধ্যেই গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। কিন্তু, বাজেটের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়ান মণীশ। তার পরেই আজ ফের তলব।
আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু! মেঘের সমুদ্রে ডুবে যাওয়া রেলব্রিজ! ভারতের কোথায়?
আপ-এর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই সিবিআই-কে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারির পরে কেজরীর ট্যুইট, "ঈশ্বর তোমার সঙ্গে রয়েছেন মণীশ। দিল্লির লক্ষ লক্ষ শিশু ও তাদের অভিভাবকদের আশীর্বাদ তোমার সঙ্গে আছে। যখন দেশ এবং সমাজের খাতিরে কাউকে জেলে যেতে হয়, তখন তা অভিশাপ নয়, তখন তা সম্মানের। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি খুব তাড়াতাড়িই তুমি জেল থেকে মুক্তি পাও। দিল্লির বাচ্চারা তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।"