দিল্লি থেকে অমৃতসর ফেরার পথে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে৷ তাকে রাখা হয়েছে পুলিশ হেফাজতে৷ দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন দক্ষিণপশ্চিম দিল্লির জনকপুরীতে একটি বাড়িতে বক্স খাটের ভিতর থেকে ২৬ বছর বয়সি দীপিকা চৌহানের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়৷ পচন রোধ করার জন্য তাঁর দেহ সাদা ফিতে বা টেপ দিয়ে জড়ানো ছিল৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে দীপিকা ছিলেন স্পা-কর্মী৷ তাঁর স্বামী অভিযুক্ত ধনরাজ পেশায় অ্যাপ অন্তর্ভুক্ত বাইকচালক৷ অভিযোগ, উপার্জনের টাকা সবই মদের পিছনে ব্যয় করত ধনরাজ৷ সংসার চলত দীপিকার বেতনে৷
advertisement
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে যায় ধনরাজ৷ সন্ধান করে তার লোকেশন চিহ্নিত হয় অমৃতসরে৷ সেখান থেকে দিল্লি ফেরার পথে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে৷ পুলিশের দাবি, জেরায় ধনরাজ জানিয়েছে তার পরিকল্পনা ছিল কিছু দিন পর বক্সখাট থেকে দীপিকার দেহ বার করে কয়েক টুকরো করে কেটে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার৷ সে ভেবেছিল এতে তার উপর কোনও সন্দেহ পড়বে না৷ ইউটিউবে সার্চও করেছিল মানুষের শরীর কী করে কয়েক টুকরো করে কাটা যায়, তার ভিডিয়ো দেখতে৷ স্ত্রীর পুরুষবন্ধুকে খুন করার ইচ্ছের কথাও সে স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের৷
ধনরাজের মোবাইল ফোন সুইচড অফ থাকলেও তার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ইউপিআই মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়৷ সেই সূত্র ধরেই তার অবস্থান চিহ্নিত করা যায়৷ এর আগে আর কোনও অপরাধমূলক কাজে সে জড়ায়নি বলে দাবি পুলিশের৷ তার কাছ থেকে স্ত্রী দীপিকার-সহ মোট ৩টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে৷