বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির দ্বারকা এলাকার ঘটনা। সেখানকার একটি বাড়ির আলমারি থেকে মিলেছে ২৬ বছর বয়সী যুবতীর দেহ। এই ঘটনায় তরুণীর লিভ-ইন পার্টনারের দিকেই আঙুল তুলছেন তাঁর বাবা। দিন কয়েক ধরে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে গত বুধবার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ একটি পিসিআর কল আসে। যিনি কল করেছিলেন, তিনি জানান যে, তাঁর মেয়ে হয়তো খুন হয়ে গিয়েছেন। এই খবর পাওয়া মাত্রই দ্বারকার রাজাপুরী এলাকার সংশ্লিষ্ট বাড়িতে পৌঁছে যায় ডাবরি থানার একটি দল।
advertisement
আরও পড়ুন: ভিতরে ভর্তি কঙ্কাল, ৩৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বিমান ফিরল এয়ারপোর্টে! বিশ্বের বড় রহস্য এই ঘটনা
উচ্চপদস্থ এক পুলিশ অফিসার সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ফ্ল্যাটে ঢোকা হয়। তারপর একটি ঘরের আলমারির মধ্যে থেকে ওই যুবতীর দেহটি উদ্ধার হয়। ক্রাইম টিম এবং এফএসএল গোটা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে। পুলিশ এ-ও জানায় যে, ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ওই যুবতীর বাবাও। তিনি অভিযোগ করেন, লিভ-ইন পার্টনার ভিপল টেলরের হাতেই খুন হয়েছেন তাঁর মেয়ে। অটোপ্সির জন্য আপাতত ওই যুবতীর মৃতদেহ ডিডিইউ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবারের ১১ জনেরই একসঙ্গে মৃত্যু! গণ আত্মহত্যা নাকি খুন? ভারতের সবথেকে রহস্যময় মৃত্যু-ঘটনা
মেয়ের সঙ্গে শেষ বার কথা হওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি অভিযোগ করেন যে, মেয়ে মাঝেমাঝেই বলত যে, লিভ-ইন পার্টনার ভিপল তাঁকে মারধর করতেন। এমনকী ভিপলের হাতে খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন ওই যুবতী।
ওই যুবতীর বাবা জানান, গত দেড় মাস ধরে লিভ-ইন পার্টনার ভিপলের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া করে থাকছিলেন ওই যুবতী। আপাতত সুরাতের বাসিন্দা ওই অভিযুক্তকে পাকড়াও করার জন্য তল্লাশি অভিযান চলছে জোরকদমে। মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভিপলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন)-র অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকী ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যদিও এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে রাজধানী দিল্লির বুকেই লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার হাতে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী শ্রদ্ধা ওয়ালকর। প্রেমিকার দেহের ৩৫ টুকরো করেছিল অভিযুক্ত। ২০২২ সালের মে মাসের ঘটনা। আর শ্রদ্ধা খুনের নৃশংসতায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশের মানুষ।