দিল্লির লালকেল্লা চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগেই ৬ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে NIA। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয় এক সন্দেহভাজনকে। ধৃতের নাম তুফাইল নিয়াজ ভাট। ধৃতের বাড়ি শ্রীনগরের বাতামালু এলাকায়। তিনি পুলওয়ামায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন। জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তুফাইলের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। এড়াছা, জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় এক টেকনিশিয়ানকে। ধৃতের নাম তুফেইল নিয়াজ। তদন্তকারী সূত্রের খবর, পাক হ্যান্ডলারের কাছে থেকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল পৌঁছে দিয়েছিলেন অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক এবং দিল্লি বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত তথা ‘ডক্টর টেরর মডিউল’-এর সদস্য আদিল রাথরের কাছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ নিয়াজকে প্রথমে আটক করে। তার পর স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)-র হাতে তুলে দেয় তারা। তার পর নিয়াজকে গ্রেফতার করে এসআইএ।
advertisement
আরও পড়ুন:বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, কর্ণাটকে মৃত সিনিয়র আইএএস অফিসার সহ ৩!
গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে একটি ‘হুন্ডাই আই২০’ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ওই গাড়ির চালক ছিল উমর। পরে আশপাশের বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায় বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়িটি লালকেল্লার অদূরে একটি পার্কিংয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল। বিস্ফোরণের দিন দুপুরে ওই পার্কিংয়ে প্রবেশ করেছিল গাড়িটি। বেরিয়েছিল সন্ধ্যায়, বিস্ফোরণের ঠিক আগে। সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের দিন গাড়িটি দুপুর ৩টে ১৯ মিনিটে লালকেল্লার অদূরে সুনহেরি মসজিদের কাছে একটি পার্কিংয়ে প্রবেশ করেছিল। সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। তার পরে ওই পার্কিং থেকে বেরোয় গাড়িটি। পার্কিং থেকে বার হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লার কাছে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়।
