CNN-News18 এর সঙ্গে কথা বলার সময় তদন্তকারী আধিকারিকের সূত্র বলেন, ‘‘কোর গ্রুপে ৫ জন ছিল৷ উমর (আত্মঘাতী জঙ্গি), ধর্মগুরু মৌলভি ইরফান, ডা. আদিল রাদার , মুজাম্মিল শাকিল এবং একজন মহিলা৷ ওই মহিলা মুজাম্মিলকে টাকা দিয়ে সাহায্য করত৷ কারণ সে ওর প্রেমিকা ছিল৷ কিন্তু, ওই মহিলা ঠিক কতটা জড়িত ছিল এই সবের সঙ্গে সে বিষয়ে আমাদের এখনও স্পষ্ট ধারণা নেই৷ এছাড়াও, এই বৃত্তে ২ জন ছিল৷ এরা হল আদিলের ভাই মুজফফর যে আফগানিস্তানে পালিয়েছে আর আমির, যে গাড়িটা কিনেছিল৷’’
advertisement
এই হামলায় বিদেশের যোগসূত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘তিনজন হ্যান্ডলার ছিল৷ তার মধ্যে একজন উকাসা এবং অন্যজন হাসিম৷ এই উকাসা এবং নাম না জানতে পারা হ্যান্ডলাররা কাশ্মীরি৷ কিন্তু বর্তমানে আফগানিস্তানে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এই হাসিমও পাকিস্তান-আফগানিস্তানে বেশ কিছুদিন থেকেছে বলে জানা গিয়েছে৷
সূত্রের দাবি, ‘‘২০২২ সালে যখন মুজাম্মিল, মুজফফর এবং উমর তুরস্ক গিয়েছিল তখন এই উকাসাই তাদের থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল৷ এরা তিনজনই আফগানিস্তানে থাকার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি৷ এছাড়াও, সিরিয়ার এক রিফিউজি-ও ওদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত উকাসার সঙ্গে, যারা এই তিনজনের দেখাশোনা করত৷ ওরা সেই সময় ১৫-২০দিন থেকেছিল, তারপর ফিরে আসে৷’’
এছাড়াও, গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, গত দু’মাসে অভিযুক্ত ধর্মগুরুর কাছে আফগানিস্তান থেকে প্রচুর ফোন এসেছে৷ অভিযুক্ত মুজফফরের ফোনেও পাকিস্তান-আফগানিস্তান থেকে ফোন আসত বলে জানা গিয়েছে৷
সূত্র বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, এটা ওরা কাশ্মীরে করতে চেয়েছিল, বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি এবং জ্বালানি তেল দিয়ে৷ ঠিক যে ভাবে পুলওয়ামায় হামলা হয়েছিল৷ কিন্তু, মুজাম্মিল ধরা পড়ে যাওয়ায় প্ল্যানটা ভেস্তে যায়৷ তখন উমর তাড়হুড়ো করে রেড ফোর্টের ঘটনা ঘটায়৷’’
