পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ নভেম্বর হরিয়ানার ধৌজে আল-ফতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পার্ক করে রাখা ছিল এই ঘাতক গাড়িটি। এরপরে তা পুরনো দিল্লিতে আনা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ দিল্লির কনট প্লেস, ময়ূর বিহার এবং দিল্লির বিভিন্ন শহরে অবাধে ঘুরে বেরিয়েছিল গাড়িটি।
আরও পড়ুন: মরিয়া হয়ে বিস্ফোরণ ঘটান কাশ্মীরি চিকিৎসক! লালকেল্লার পাশে কাউন্টডাউন ধরা পড়ল সিসিটিভিতে
advertisement
তদন্তকারীরা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে ‘হাই-গ্রেড মিলিটারি এক্সপ্লোসিভ’-এর বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সূত্রের মতে, বিস্ফোরণের গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে সীমান্তের ওপার থেকে।
অন্যদিকে, ফরেন্সিক দল ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণস্থল থেকে ৪০টিরও বেশি নমুনা সংগ্রহ করেছে। এরমধ্যে দু’টি তাজা কার্তুজ এবং বিস্ফোরক পদার্থ পাওয়া গিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, মূলত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে আরও কোনও জোরালো বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকের ছদ্মবেশে ফিনান্সার! নতুন আতঙ্ক ‘লেডি ডাক্তার’, দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে নয়া মোড়
এর আগে ফরিদাবাদে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ডাঃ মুজাম্মিল গানাই এবং ডাঃ শাহিন সাইদ। দুজনেই আল-ফতেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এই বিস্ফোরণের পরেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দিল্লি শহরকে। শহরের প্রধান প্রধান ঢোকা এবং বেরোনোর রাস্তায় নাকা তল্লাশি করছেন পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর আধিকারিকরা।
