আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা, খাদে পড়ে গেল আস্ত বাস, মৃত ২৮, আহত বহু, শুরু উদ্ধারকাজ
২৪ ঘণ্টা আগে বাতাসের গুণমান ছিল ৩৯৩। তারপর চড়চড় করে নামতে থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নয়ডার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩৩৮। হরিয়ানার গুরুগ্রামে ৩১০। দীপাবলির ঠিক পরেই বাতাসের গুণমান অতটা গুরুতর না হলেও, শান্ত বাতাস এবং কম তাপমাত্রার কারণে বায়ুর গুণমান আরও খারাপ হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বেসিনে পাইপে ময়লা জমে জল আটকে যাচ্ছে, এই ‘ছোট্ট’ কাজ করুন, তাহলেই ম্যাজিক
উৎসবের মরশুম চলছে। দেদার ফাটছে আতশবাজি। সঙ্গে যানবাহনের ধোঁয়া তো আছেই। তবে রাজধানীর বাতাসের গুণমানের অবনতির পিছনে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ফসলের গোড়া পোড়ানোকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা মূলত, এই সময়কালে বায়ুর মানের অবনতির অন্যতম প্রধান কারণ।
দেশের সবচেয়ে দূষিত ৫ শহর:
আগ্রা, উত্তরপ্রদেশ – ৪২৪ (গুরুতর)।
নয়া দিল্লি – ৪০৮ (গুরুতর)।
সোনিপত, হরিয়ানা – ৩৯১ (খুব খারাপ)।
গাজিয়াবাদ, উত্তরপ্রদেশ – ৩৭০ (খুব খারাপ)।
ফতেপুর সিক্রি, উত্তরপ্রদেশ – ৩৫৮ (খুব খারাপ)।
দেশের যে ৫ শহরে বায়ুর গুণমান সবচেয়ে ভাল: চান্নারায়াপট্টনা, কর্ণাটক – ৮ (ভাল)।
বিষ্ণুপুর, মণিপুর – ১০ (ভাল)।
বেলুর, কর্ণাটক – ১১ (ভাল)।
শিলচর, আসাম – ১১ (ভাল)।
কাকচিং, মণিপুর – ১১ (ভাল)।
দূষণের কারণে দিল্লিতে ক্রমশ অসুস্থতা বাড়ছে ৷ একটি সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, রাজধানীর ৬৯ শতাংশ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য দূষণজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। এর মধ্যে গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং কাশি অন্যতম।
দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের ২১,০০০-এর বেশি বাসিন্দাদের উপর সমীক্ষা চালায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘লোকাল সার্কেলস’। তাদের মতে, রাজধানীর বাসিন্দাদের শরীরে বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে, দূষণের কারণে ৬২ শতাংশ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য চোখে জ্বালাভাব এবং ৪৬ শতাংশ সর্দি বা নাক বন্ধের মতো সমস্যায় ভুগছেন।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৩ শতাংশ উদ্বেগের শিকার। কোনও কিছুতেই তাঁরা মন বসাতে পারেন না। ১৫ শতাংশ ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। সব মিলিয়ে রাজধানীবাসীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।
তবে ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, দূষণ তাঁদের শরীরে প্রভাব ফেলতে পারেনি। পরিবারের কাউকেও দূষণের কারণে অসুস্থ হতে দেখেননি তাঁরা।