“গতকাল থেকে মুষলধারে অবিরাম বৃষ্টির কারণে, দেরাদুনের বিখ্যাত তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরের কাছে প্রবাহিত তমসা নদী ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যার কারণে মাতা বৈষ্ণো দেবী গুহা যোগ মন্দির এবং তপকেশ্বর মহাদেবের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সেতুটিও জলে ডুবে গেছে। এছাড়াও অনেক ক্ষতি হয়েছে৷ তবে, ঈশ্বরের কৃপায়, কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি,” বলেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য বিপিন জোশী৷ অন্যদিকে, শনিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার কাটরা শহরের মাতা বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের কাছেও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে হড়পা বান দেখা দিয়েছে। অতিবৃষ্টি ও হড়পা বানের কারণে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে ভক্তদের যাত্রা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- ভোলেননি 'হিন্দু ঐতিহ্য'! নির্বাচনের আগে কৃষ্ণের আশীর্বাদ চাইলেন ঋষি সুনক
“ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কাটরা থেকে বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে তীর্থযাত্রীদের যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মন্দির থেকে নেমে আসা তীর্থযাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি,” জানিয়েছে শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী মন্দির বোর্ড।
আরও পড়ুন- ৩৭,০০০ ফুট উচ্চতায় ঘুমিয়ে কাদা পাইলট! যাত্রীদের নিয়ে আকাশেই ঘুরপাক খেল বিমান
জুলাইয়ের শুরুতেই, অমরনাথের গুহা এলাকায় একটি মেঘ বিস্ফোরণ ঘটে যার ফলে গুহা সংলগ্ন ‘নালা’ থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে অমরনাথ যাওয়ার পথটিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কিছু সময়ের জন্য তীর্থযাত্রাও বন্ধ ছিল।
ভারতীয় বায়ুসেনার চারটি Mi-17V5 এবং চারটি চিতল হেলিকপ্টারও অমরনাথ মন্দিরে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য মোতায়েন করা হয়। সেনা ও স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে জম্মু থেকে ২৯ জুন যাত্রা শুরু হয়েছিল। হিমালয়ের উপরের অংশে অবস্থিত শিবের ৩,৮৮০-মিটার উঁচু গুহা মন্দিরে অমরনাথ তীর্থযাত্রা, পহেলগাঁও এবং বালতাল-এই দুই রুট থেকে অনুষ্ঠিত হয়।