কৃষক আন্দোলনকে বিপথে চালনা করা, লালকেল্লায় নিজামী সাহেবের পতাকা উড়ানো, জাতীয় পতাকার অবমাননা-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে দীপ সিধুর বিরুদ্ধে। ২৬ জানুয়ারি শেষবার তাঁকে দেখা যায় একটি মোটর বাইকে চড়ে আইটিও চত্বর ছেড়ে পালাতে। তারপর ফেসবুকে লাইভে এসেছিলেন সিধু। তিনি বলেছিলেন, কোনও রকম কোনও অন্যায় করেননি তিনি। সিধুর যুক্তি ২৬ জানুয়ারি তাঁরা কেবল অধিকার প্রদর্শন করেছেন। তাঁর মত, লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়নি। নিশান সাহিবের পতাকা ওড়ানো ছিল প্রতীকী প্রতিবাদ।
advertisement
একাংশের অভিযোগ দীপ সিধু বিজেপি ঘনিষ্ঠ। সানি দেওয়ালের সঙ্গে সখ্য রয়েছে তাঁর। এই মর্মে বেশ কিছু ছবিও ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পরে এই ধরনের অভিযোগ কার্যত ঝেরে ফেলেছেন সানি। জানিয়ে দিয়েছেন সিধুর সঙ্গে বর্তমানে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অন্য দিকে দীপ সিধু কৃষক আন্দোলনের একজন বলে কেউ কেউ দাগিয়েয়ে দিলেও যোগেন্দ্র যাদব বলছেন সিধুকে বহুদিন আগে কৃষক আন্দোলন থেকে দূরে সরানো হয়েছিল। তাঁকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল আগেই, মত বেশ কয়েকজন কৃষকনেতার।
আন্দোলনকারীদের একাংশ বলছেন দীপ সিধুকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই কৃষক আন্দোলনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনের গতি রুদ্ধ করতে। শুধু দ্বীপ শুধু নয় উঠে আসছে লখবীর সিং সিধানার নাম। গ্যাংস্টার হিসেবে পরিচিত ছিলেন, পরে রাজনীতিতে আসেন বছর চল্লিশের সিধানা।
উল্লেখ্য জানুয়ারিতে এনআইএ শমন পাঠিয়েছিল দীপ সিধু এবং তাঁর ভাই মনদীপ সিং-কে। অভিযোগ ছিল দীপ ও তাঁর ভাই নিষিদ্ধ সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস-এর সঙ্গে যুক্ত।