ভাই আছেন বহাল তবিয়তেই। পাড়া বদলালেও এখনও করাচির ফ্লিনটফ রোডেই বাসিন্দা দাউদ ইব্রাহিম। দাউদের নতুন ডেরায় সিএনএন নিউজ ১৮ এর অর্ন্ততদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। অ্যাবোতাবাদে লাদেনের ঘাঁটির মতই ছড়ানো বাড়ি। সামনে দরজা। বিশাল চত্ত্বরে গোপন ব্যাঙ্কার। মাসুদ আলম সিদ্দিকির বাড়িকে দাউদের ঘাঁটি হিসাবেই চেনেন স্থানীয় মানুষ।
জনবহুল এলাকা থেকে সরে এসে ফ্লিটটফ রোডের একেবারে শেষপ্রান্তে ঘাঁটি গেড়েছেন মাসুদ আলম সিদ্দিকি ওরফে দাউদ ইব্রাহিম। ভারতের গ্যাংস্টার যে এই ঠিকানায় থাকেন, তাও অজানা নেই স্থানীয়দের। এই বাড়িতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সিএনএন নিউজ ১৮ এর প্রতিনিধি ৷
advertisement
ফোনের ক্যামেরা অন করে যখন স্টিং অপারেশনের প্রতিনিধী দাউদের বাড়ির আশপাশে ঘুরছিল তখন তার দেখা হয় এক নিরাপত্তীরক্ষীর সঙ্গে ৷ কী বললেন তিনি ?
প্রতিনিধী: দাউদের বাড়িটা কোনদিকে?
নিরাপত্তারক্ষী: এই ফ্লিটটফ রোড দিয়ে বাঁ-দিকে গেলেই বাড়ি।
প্রতিনিধী: উনি এখানে কতদিন রয়েছেন?
নিরাপত্তারক্ষী: বেশ কিছুদিন।
প্রতিনিধী: বাড়িটা তো অন্য কারো নামে আছে?
নিরাপত্তারক্ষী: সেসব জানি না। বাড়িটা দাউদের বলেই জানি। বহুদিন ধরে সারাই হয়েছে। এখন কাজ বন্ধ আছে।
প্রতিনিধী: আপনি দাউদকে দেখেছেন?
নিরাপত্তারক্ষী: হ্যাঁ, দেখেছি। বেশ কয়েকবার
দাউদের বাড়ি ঠিকানা- ডি-১৩, বল্ক ৪, করাচি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি, ক্লিফটন ৷
বয়স বাড়ছে। আগের থেকে কী অনেকটা সর্তকও ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার? কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে রাস্তা তৈরি হয়েছে। অনেকটা ওপরে ভাইয়ের প্রাসাদ। স্থানীয় মানুষদের বাড়ি, বাড়ির বিশাল চত্ত্বর জুড়ে মোতায়েন কয়ের শো নিরাপত্তাকর্মী। রয়েছে গোপন ব্যাঙ্কার-হেলিপ্যাড ও গোটা এলাকায় নজর রাখতে সাইবার টাওয়ার।
কূটনৈতিক দৌত্যে আদৌ কী কিছু লাভ হবে? পাকিস্তান কী কোনওদিন কোনওদিন দাউদকে ভারতের হাতে তুলে দেবে? আর কিছু না হোক, পাকিস্তানের নির্জেভাল মিথ্যেটা তো আরও একবার দুনিয়ার সামনে এল।