সাক্ষ্য দিতে গিয়ে লস্কর-ই-তৈবার সদস্য হেডলি বলেন, ভারতে ঢোকার জন্যই পাসপোর্টে দাউদ গিলানি থেকে নাম বদলে হন মার্কিন নাগরিক ডেভিড কোল হেডলি ৷ নতুন পাসপোর্ট পেয়ে মোট আটবার ভারতে এসেছিলেন হেডলি ৷ এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে সাতবার মুম্বই এবং একবার দিল্লি যান তিনি ৷ মার্কিন পাসপোর্ট কারোর সন্দেহ হবে না তা তিনি জানতেন ৷ এতেই ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকরগুলো উঠে আসে ৷ হেডলি আরও জানান, পাসপোর্টে মা-র নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট নাম্বার, জন্মদিন, জন্মস্থান ছাড়া সবই ভুঁয়ো ছিল ৷ নাম পরিবর্তনের পরে তিনি সেই তথ্য পাকিস্তানে গিয়ে লস্কর-ই-তৈবার সদস্য সহকর্মী সাজিদ মীরকে জানান ৷ হেডলির বয়ান অনুযায়ী, ‘সাজিদ চেয়েছিল আমি ভারতে ব্যবসা বা অফিস খুলি ৷ ভারতে ঢোকার আগেই মীর ওর লক্ষ্যের কথা জানায় ৷ মুম্বই শহরের ভিডিও তুলতে বলেছিল আমাকে ৷ আমি তাই করি ৷ ’ তবে হেডলির বয়ানে সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য যা উঠে এসেছে তা হল, মুম্বই হামলার পরও নির্দ্বিধায়, বিনা বাধায় ভারতে এসেছিলেন হেডলি ৷ আদালতকে মুম্বই হানার মূল চক্রী এদিন জানান, ‘৭ মার্চ ২০০৯-এ, মুম্বই হানার পরেও ভারতে এসেছিলাম’ ৷ মুম্বই হানার পরেও যে টনক নড়েনি প্রশাসনের তা এতেই স্পষ্ট ৷
advertisement
সোমবার ছিল সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিন ৷ এদিন মোট ৪০টি প্রশ্ন করা হয় হেডলিকে ৷ এই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বের পর ২৬/১১-র মুম্বই হামলা সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলে আশা ভারতের। হেডলির বয়ানে জঙ্গিহানার পিছনে পাকিস্তানের ভূমিকা স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী মুম্বই পুলিশও। ২৬/১১-র মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অপরাধে ইতিমধ্যেই আমেরিকার আদালতের নির্দেশে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছে ডেভিড হেডলি ওরফে দাউদ গিলানি ।