ভাইরাল ভিডিও-য় দেখা যাচ্ছে যে, বাড়ির বাইরে সিঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শাশুড়ি-বৌমা। তাঁদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন আরও এক মহিলাও। দেখে মনে করা হচ্ছে, পাশে দাঁড়িয়ে অন্য মহিলাটি পুত্রবধূটির মা। তিনি গোটা ঘটনাটিকে ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। আসলে শাশুড়ি আর বৌমার মধ্যে বচসা চলছিল। সেই বচসা হিংসাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কারণ বৌমার মায়ের হাত থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন শাশুড়ি। আর যে মুহূর্তে তিনি মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যত হন, সঙ্গে সঙ্গে রণং দেহি মূর্তি ধারণ করেন পুত্রবধূও। ক্রমাগত মারধর করতে শুরু করেন শাশুড়িকে। এক সময় তো শাশুড়িকে আছড়ে ফেলে সিঁড়ি থেকে ফেলে দিতে পর্যন্ত উদ্যত হন। এরপরেই কেউ দরজাটি খুলে দেন। ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে এই মারধরের ঘটনা।
advertisement
সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, এই ঘটনাটি গত ১ জুলাইয়ের ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের গোবিন্দপুরমে ঘটেছে এই মারধরের ঘটনাটি। ইন্ডিয়া টুডে-র একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, ভিডিও-য় থাকা পুত্রবধূটির নাম আকাঙ্ক্ষা এবং শাশুড়ির নাম সুদেশ দেবী। সেই প্রতিবেদনে এ-ও দাবি করা হয়েছে যে, বিচার চেয়ে বারবার পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়েছে সুদেশ দেবীকে। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুদেশ দেবীর অভিযোগ, তাঁর পুত্রবধূর পরিবারের সঙ্গে পুলিশি উপরমহলের ওঠা-বসা রয়েছে।
এদিকে আবার বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনায় মহারাষ্ট্রের জালনা জেলায় এক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ৯ জনের একটি দলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই অভিযুক্তরা প্রহৃত ব্যক্তির কন্যাকে কুমন্তব্য করেছিল। যার প্রতিবাদ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তারপরেই তাঁর উপর রীতিমতো চড়াও হয়ে মারধর করা হয়।
গত সপ্তাহের এই মারধরের ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে যে, বাবাকে যাতে মারধর করা না হয়, তার জন্য উত্তেজিত ওই অভিযুক্তদের কাছে ভিক্ষা চাইছে নাবালিকা মেয়েটি। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, অভিযুক্তদের ভাইয়া বলে সম্বোধন করছে মেয়েটি। তা সত্ত্বেও ওই দলের ২ জন ক্রমাগত মেয়েটির বাবাকে লাঠিয়ে দিয়ে পিটিয়ে চলেছে।