ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী প্রমিলা মল্লিক বলেছেন, ''সমস্ত জেলাশাসক, এসপি এবং আপৎকালীন দফতরের কর্মীদের আগ্রিম ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এলে যেন সব রকম পরিস্থিতিতে সকলে তৎপর থাকে, তাই জন্য এই সিদ্ধান্ত।''
আইএমডি জানিয়েছে, আগামী ২৫ অক্টোবর, ওড়িশার উপকূল দিয়ে ঘেঁষে যাবে সিত্রাং, তার পর বাংলা হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে এই ঝড়। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। আগামী চার দিনে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে।
advertisement
আরও পড়ুন: আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া মোকাবিলায় সতর্ক উপকূলরক্ষী বাহিনী
ঘণ্টায় ৬৫ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে আছড়ে পড়বে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২২ অক্টোবর শনিবার নাগাদ আন্দামানের উত্তরে এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী হয়ে ২৪ অক্টোবর একটি ভয়ঙ্কর দুর্যোগের আকার নেবে।
আগামী শনিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সোমবার কালীপুজোর দিন থেকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করতে পারে। উপকূলবর্তী এলাকায় সোমবার ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। কোথাও তা ৮০ কিলোমিটার হতে পারে। মঙ্গলবার ঝড়ের গতিবেগ আরও বাড়বে। উপকূলবর্তী জেলাগুলির মধ্যে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের গতিবেগ ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার হবে। কোথাও কোথাও তা ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড়! ভারীবৃষ্টির সতর্কতা! সাইক্লোন নিয়ে বড় নির্দেশ দিল নবান্ন
সিত্রাং নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। সিত্রাং শব্দের ভিয়েতনামি অর্থ যেমন পাতা তেমনি এটি থাইল্যান্ডের বাসিন্দাদের পদবি। ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম সিত্রাং। আগামী ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে মান্দোস। যা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।