বুধবার সকালে মৌসম ভবনের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, "সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে নিসর্গ । ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিতে ভূমিভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ।" শেষ তথ্য অনুযায়ী, ল্যান্ডফলের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে অন্তত ১০০-১২০ কিলমিটার প্রতি ঘণ্টায় । যার ফলে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলায় বহু নির্মাণ নষ্ট হতে পারে । ঝড়ের তাণ্ডবে নষ্ট হতে পারে বহু কাঁচা বাড়ি । টেলিফোনের টাওয়ার , বিদ্যুতের খুঁটি , বড় গাছ পড়ে বিচ্ছিন্ন হতে পারে ইন্টারনেট এবং বিদ্যুৎ সংযোগ । অর্থাৎ আমফানের মত 'নিসর্গ'-ও যে বহু ক্ষয়ক্ষতি করবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখছে না । তবে শুধু মহারাষ্ট্র নয় , গুজরাতেও বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে । হাওয়ার গতিবেগে সেখানে নির্মাণ নষ্ট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ।
advertisement
এদিকে, সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দাদার, মাতুঙ্গা, সায়ান , ওয়াডালা , পারেল এলাকায়। সতর্কবার্তা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে দুই রাজ্যেই। মুম্বই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে প্রায় এক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন করোনা আক্রান্ত । শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই এনডিআরএফ-এর ২০টি দল মোতায়েন করা হয়েছে । এর মধ্যে মুম্বইয়ে মোতায়েন ৮টি দল । এছাড়া রাইগড়-এ ৫টি, পালঘরে ২টি, থানে এলাকায় ২টি , রত্নগিরিতে ২টি এবং সিন্ধুদুর্গে ২টি দল তৈরি রাখা হয়েছে আপতকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য । ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দমন-দিও ও দাদরা-নগরহাভেলির প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷