বুধে আতঙ্ক। আরও একবার। পশ্চিমবঙ্গের পর এবার পশ্চিম উপকূল। উত্তর মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ।মৌসম ভবন ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, নিসর্গ খুব একটা শান্তশিষ্ট নয়। বরং বেশ দামাল। তেড়েফুঁড়েই এগিয়ে আসছে এই সাইক্লোন। ঘূর্ণিঝড় থেকে ইতিমধ্যেই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে নিসর্গ ৷ কমবেশি ঘণ্টায় ১১ কিমি গতিতে উত্তর দিকে এগোচ্ছে এই ঝড় ৷
advertisement
আছড়ে পড়ার সময় নিসর্গের গতি থাকতে পারে গড়ে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। উত্তাল হবে আরবসাগর। ঝড়ের দাপট ভালোমতোই টের পাবে বাণিজ্যনগরী মুম্বই। গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকাতেও তান্ডব চালাবে নিসর্গ। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে, মহারাষ্ট্রের ১১ জেলা ৷ গুজরাতের ৭ জেলা ৷ দমন-দিউ ও দাদরা-নগর হাভেলিতে ৷
সাইক্লোন নিসর্গ মোকাবিলায় দুই রাজ্যই নিজেদের মতো করে তৈরি। নেমেছে এনডিআরএফ। উপকূলরক্ষী বাহিনী ও নৌ-সেনাকেও তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দমন-দিউয়ের মুখ্য প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট করে এদিন রাজ্য প্রশাসনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মুম্বই শেষ ঘূর্ণিঝড় দেখেছিল ১৮৮২ সালে। এরপর থেকে সন্তানের মতই বাণিজ্যনগরীকে আগলে রেখেছে আরবসাগর। সাইক্লোন শক্তি দেখাতেই পারেনি ৷ আরব সাগরের বাতাস সাইক্লোনের মুখ ঘুরিয়ে দেয় ৷ ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা ওমান বা এডেন উপসাগরের দিকে ঘুরে যায় ৷ অনেক সময় গুজরাতের দিকেও চলে যায় ঘূর্ণিঝড় ৷
আরবসাগরের মতো মৌসুমি বায়ুও বারবার কোল দিয়ে বাঁচায় মুম্বইকে ৷ মৌসুমি বায়ু ঢুকলে গোটা পশ্চিম উপকূল জুড়ে উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয় ৷ এই উচ্চচাপ বলয় সাইক্লোনকে ভোঁতা করে দেয় ৷
কিন্তু সেই নিরাপদ উপকূলেই ১৮৮২-র পর ফের সাইক্লোন। মহারাষ্ট্রের মতোই আতঙ্কে কাঁপছে গুজরাতও। কোভিড-19 নিয়ে দুই রাজ্যই প্রবল অস্বস্তিতে। তারই মধ্যে সাইক্লোন নিসর্গের হানা।
আমফান থেকে শিক্ষা নিয়েই দুই রাজ্যের প্রশাসন জানিয়ে রেখেছে, সাইক্লোন আছড়ে পড়ার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে রাজ্যের অধিকাংশ জায়গাতেই।
Photo Courtesy: Windy.com