জগন্নাথের আহত হওয়ার খবর জানার পর গত শনিবার তাঁর দাদা, শ্যালক সহ পরিবারের আরও তিনজন সদস্য কাশ্মীরে সেনা হাসপাতালে পৌঁছে যান। পরিবারের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গুরুতর আহত হলেও জগন্নাথ চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোমবার সন্ধ্যেয় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন জগন্নাথ। বাড়িতে মা, স্ত্রী ও পুত্র সন্তান রয়েছে জগন্নাথের। মাত্র ৩৩ বছর বয়সী জগন্নাথ রায় বাবাকে হারিয়েছেন আগেই। ধুপগুড়ির পশ্চিম শালবাড়ি এলাকায় জগন্নাথের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমেছে।
advertisement
২৫ মার্চ লাওয়াপোড়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় সিআরপিএফের দুজন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে জগন্নাথ একজন। জগন্নাথ রায় ছাড়া বাকি দুজন আহত জওয়ান এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই ঘটনার সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরাই জড়িত। সিআরপিএফ কনভয়ের উপর হামলার পর ওই তিন-চার জন জঙ্গি গা ঢাকা দেয়। ওই এলাকায় সেই সময় ভিড় ছিল। তাই সিআরপিএফের তরফের পাল্টা গুলি চালানো হয়নি। সিআরপিএফ-এর তরফে জানানো হয়েছিল, ওই সময় কাউন্টার ফায়ারিং করলে সাধারণ মানুষের হতাহতের সম্ভাবনা থাকত।