ঘটনাটি ঘটেছে ইজ্জতনগর থানা এলাকায়। রাজীবের স্ত্রী সাধনা হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ৷ অভিযুক্ত সাধনা তার পাঁচ ভাই – ভগবান দাস, প্রেমরাজ, হরিশ এবং লক্ষ্মণকে রাজিও করিয়েছিলেন হত্যাকাণ্ডের জন্য কিছু গুন্ডা ভাড়া করতে।
অভিযোগ, ২১ জুলাই রাতে, মোট ১১ জন লোক রাজীবের বাড়িতে আক্রমণ করে। তারা তাঁর হাত এবং দু’টি পা ভেঙে দেয়। পরিকল্পনা ছিল তাঁকে জীবন্ত কবর দেওয়ার। তারা তাঁকে সিবি গঞ্জ এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং কবর দেওয়ার জন্য একটি গর্ত খনন করে। কিন্তু ভাগ্যের অন্য পরিকল্পনা ছিল। তাঁকে কবর দেওয়ার আগেই, একজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, যার ফলে অভিযুক্তরা তাদের পরিকল্পনা ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
advertisement
রাজীবকে ফেলে রেখে চলে যায় চক্রান্তকারীরা৷ যন্ত্রণায় কাতর রাজীবের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। সে সাহায্যের জন্য চিৎকারটুকুও করতে পারছিল না। কিন্তু অপরিচিত ব্যক্তিটি তাঁকে দেখতে পেয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজীবের চিকিৎসা চলছে ওই হাসপাতালে৷
রাজীবের বাবা নেত্রাম তাঁর পুত্রবধূ সাধনা এবং সাধনার ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা তাঁর ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি আক্রমণকারীদের গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : অর্ধন*গ্ন হয়ে নাবালক ছাত্রের সঙ্গে ভিডিও কল করে পুলিশের জালে মধ্যবয়সি শিক্ষিকা!
প্রসঙ্গত বরেলীর নবোদয় হাসপাতালে একজন ডাক্তারের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেন রাজীব। ২০০৯ সালে সাধনার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় এবং এই দম্পতির দু’টি সন্তান রয়েছে৷ ১৪ বছর বয়সি যশ এবং ৮ বছর বয়সি লভ, দু’জনেই একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে। গ্রামে তাঁর একটি বাড়ি ছিল, কিন্তু তিনি এবং তাঁর স্ত্রী শহরে থাকতেন, তাঁর বাবার দাবি, রাজীব শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন কারণ তাঁর স্ত্রী সাধনা গ্রামে থাকতে চাননি। কেন সাধনা খুন করতে চেয়েছিল স্বামীকে, সেই কারণ জানতে চলছে জেরাপর্ব৷