রুড়কির সিবিআরআই-এর তত্ত্বাবধানে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হবে। গতকাল জোশীমঠ পরিদর্শন করেছে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের একটি দল। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন ভূবিজ্ঞানীরা। জোশীমঠের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি সুপারিশ দেবেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জোশীমঠের আসন্ন বিপদ সম্পর্কে অনেক আগেই সতর্ক করেছিলেন ভূবিজ্ঞানীরা। যদিও তাঁদের সতর্কবার্তায় আমল দেওয়া হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: ধ্বংস হয়ে যেতে পারে উত্তরকাশী-নৈনিতালও, কেন? কারণ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা
যোশীমঠ নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে নয়াদিল্লিতে। ইতিমধ্যেই যোশীমঠ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত ৮০টিরও পরিবারকে সরানো হয়েছে এবং ৯০টি পরিবারকে সরানোর কাজ চলছে। প্রায় সাতশো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। এই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের প্রত্যেককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। সেখানে গিয়েছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের জওয়ানরা।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের মতো শহরের আয়ু আর মাত্র কটা দিন! ধ্বংসের পিছনে কারণ জানলে অবাক হবেন
একই সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ন্যাশনাল ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। তবে উদ্ধারকাজে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রবল শৈত্য প্রবাহ। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় উদ্ধারকাজের গতি কমে আসছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি আশ্বাস দিয়েছেন, সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে আপাতত সবচেয়ে বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
রবিবারই উত্তরাখণ্ডের মন্দিরনগরী যোশীমঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভূমিধস প্রবণ অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, যোশীমঠের সাম্প্রতিকতম বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথও। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার যোশীমঠ-মালারি বর্ডার রোড এই এলাকার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে চিনা বর্ডারের। সীমান্তগামী সেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথের একাধিক জায়গায় দেখা দিয়েছে ধস। ফলে, এই সড়কপথের বহু জায়গাতেই বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে।