ত্রিপুরায় সিপিএম কর্মী ও পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু, জবাব দেননি প্রধানমন্ত্রী। ইয়েচুরি চিঠিতে অভিযোগ করেন, 'সবচেয়ে নির্মম ভাবে হামলা করে হয়েছিল আগরতলায় রাজ্য কমিটির অফিসে। তাঁরা অফিসের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও ফার্স্ট ফ্লোরে ভাঙচুর করে, অফিসের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং ত্রিপুরার জনগণের শ্রদ্ধেয় নেতা দশরথ দেবের মূর্তিও ভেঙেছে। সিপিআইএমের অনেক নেতাকর্মীর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে বা আগুন লাগানো হয়েছে।' দলের ত্রিপুরার রাজ্য নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে ত্রিপুরা সিপিআইএমের নেতারা দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে শুক্রবার সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, "অতীতে ১৯৭০ সালে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বামপন্থীদের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছিল। তারপর একে একে সমস্ত রাজনৈতিক দল আক্রান্ত হয়েছে। যার ফল হিসেবে ১৯৭৫-এ জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। এখন সবাই বুঝতে পারছেন কী ঘটছে।"
উল্লেখ্য, বুধবার উদয়পুর, বিশালগড়-সহ একাধিক এলাকায় বিজেপি-সিপিএম সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয় ত্রিপুরা। এই সংঘর্ষ ছড়ায় রাজধানী আগরতলাতেও।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় গিয়ে 'ধ্বংস' দেখলেন কুণাল, অভিষেকের মিছিল ঘিরে ঘর গোছাচ্ছে তৃণমূল
বিজেপি'র অভিযোগ, সিপিএমের দফতর থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। অন্যদিকে, বিশালগড়ে সিপিএম পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বুলডোজার দিয়ে দরজা ভেঙে পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সংবাদপত্র ‘প্রতিবাদী কলম’-এর এবং ‘দেশের কথা’ পত্রিকার কার্যলয়েও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সিপিএমের প্রায় ৫০টি পার্টি অফিসে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুটি পত্রিকার দপ্তরে হামলার তীব্র নিন্দা করেছে আগরতলা প্রেস ক্লাব-সহ একাধিক সাংবাদিকদের সংগঠন। সীতারাম ইয়েচুরি অভিযোগ করেন, উদয়পুর মহকুমা অফিস, গোমতী জেলা কমিটি অফিস, সেপাহিজালা জেলা কমিটির কার্যালয়, বিশালগড় মহকুমা কমিটির কার্যালয়, সাঁতার বাজার মহকুমা অফিস, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটি অফিস এবং সদর মহকুমা কমিটির অফিসে হামলা চালানো হয় বিজেপি'র তরফে।