শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় বুক বেঁধেছিলো বঙ্গ ব্রিগেড। বৈঠক শেষ হতেই সেই আশা ধূলিসাৎ। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের জন্য নজিরবিহীন তোপের মুখে পড়ল পশ্চিমবঙ্গ নেতৃত্ব। বঙ্গ ব্রিগেডের যাবতীয় তত্ত্ব উড়িয়ে দলের রায়, কংগ্রেস নয়, পার্টি কংগ্রেসই একমাত্র সত্য।
এদিন কেন্দ্রীয় কমিটির তোপ, পশ্চিমবঙ্গে ভোটের কৌশল কেন্দ্রীয় কমিটির নীতি মেনে নেওয়া হয়নি। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিরুদ্ধেই রায় দেওয়া হয়েছিল। এই অবস্থান মেনে চলতে হবে। পলিটব্যুরো রাজ্যে নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করুক।
advertisement
কমিটির তোপের পাল্টা উত্তরে, কী পরিস্থিতিতে জোট করতে হয়েছে, তার ব্যাখ্যায় ১২ পাতার নোট জমা দিয়েছেন সূর্যকান্তরা। সময়ে সময়ে সুরও চড়িয়েছেন তাঁরা। তারপরেও জোট সম্ভাবনায় দাঁড়ি টেনে দিল কেন্দ্রীয় কমিটি। কৌশলগত কারণেই ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে জনগণের জোটের তত্ত্ব।
জোট সিদ্ধান্তের প্রায়শ্চিত্তের ভার এখন পলিটব্যুরোর হাতে। রাজ্য নেতৃত্বকে পথে রাখতেই যে এই সিদ্ধান্ত তা সিপিএমের অবস্থানেই স্পষ্ট।
মতাদর্শগত বিরোধে বামদলে ভাঙনের ঘটনা নতুন নয়। জোটের প্রশ্নে কী আরও একবার এমনটা ঘটতে পারে? নাকি বাধ্য ছেলের মতোই হাত ছেড়ে আলিমুদ্দিনে ফিরবেন জোটপন্থীরা? আর ইতিহাস হয়ে যাবে হাত ধরাধরি করে ভোটের প্রচারে যাওয়া সূর্যকান্ত মিশ্র ও মানস ভুঁইয়ার ছবি ৷