পরিবর্তনশীল ঋতুতে গবাদি পশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঠান্ডা এবং বৃষ্টিতে তাদের দুধ উৎপাদন কমতে শুরু করে। এই সময়ে পশুদের সবুজ পশুখাদ্য, শুকনো ঘাস, শস্য এবং খনিজ মিশ্রণ সহ সুষম খাদ্য দিতে হবে। তাদের একটি শুষ্ক এবং উষ্ণ জায়গায় রাখতে হবে, যাতে তারা ঠান্ডা এবং আর্দ্রতার দ্বারা প্রভাবিত না হয়। পরিষ্কার এবং হালকা গরম জল সরবরাহ করতে হবে। এছাড়াও, সময়ে সময়ে টিকা এবং কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে। তার পরেও চাইলে এক দেশীয় টোটকা অবলম্বন করা যায়। তাতে পশুরা সুস্থ থাকবে এবং পরিবর্তনশীল ঋতুতেও দুধ উৎপাদনও স্থিতিশীল থাকবে।
advertisement
৭টি জিনিসের অলৌকিক মিশ্রণ:
রান্নাঘরে থাকা কিছু জিনিস দিয়ে তৈরি এই রেসিপিটি পশুদের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী এবং দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতেও কার্যকর। এই দেশি রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের মেথি বীজ, মৌরি, সেলেরি, কালো লবণ, আমলকি গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো এবং গুড়ের প্রয়োজন। প্রথমে মেথি, মৌরি এবং সেলেরি হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর ঠান্ডা করার পর পিষে গুঁড়ো তৈরি করতে হবে। এতে আমলকি গুঁড়ো, কালো লবণ এবং হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে একটা কৌটোয় তুলে রাখতে হবে।
ব্যবহারবিধি:
প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় খাবারের পর গবাদি পশুকে এক টেবিল চামচ এই মিশ্রণটি খাওয়াতে হবে। চাইলে এটি ভুসি বা গুড়ের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়ানো যায়। খাওয়ানোর ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে এর প্রভাব নজরে পড়বে। এটি গবাদি পশুর ক্ষুধা বাড়াবে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে, যা দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করবে। একই সঙ্গে, তাদের গ্যাসের সমস্যাও দূর হবে। কেন না, মেথি এবং মৌরি হজমশক্তি উন্নত করতে কার্যকর। এছাড়া সেলেরিও গ্যাসের সমস্যা দূর করে। আমলকি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে শক্তি আসে।