সিবিআই সূত্রের দাবি, এসপি অফিসের ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গে অনুব্রতের ঘনিষ্ঠতা ছিল। পাচারের ব্যাপারে অন্যান্য পুলিশদের তিনিই টাকা লেনদেন করতেন বলে খবর। এক পুলিশ মাধব, গত ২৬ এপ্রিল ইলামবাজারে পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়। সিবিআইয়ের জেরায় অনুব্রত প্রথমটা চুপ থাকলেও, পরের দিকে কার্যত 'অসহায়' দেখাচ্ছে তাকে। দাবি সূত্রের। সিবিআই এর কাছে খবর অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচারের লভ্যাংশের টাকা পুলিশ কর্মীদের মাধ্যমেই তার কাছে পৌঁছাত। যে তথ্য সেহেগালকে জেরা করে ইতিমধ্যেই পেয়েছিল সিবিআই।
advertisement
যে পুলিশ কর্মীকে সিবিআই সন্দেহ করছে সেই পুলিশকর্মী গত আট বছর বীরভূম জেলার বাইরে একবারও বদলি হননি। এদিক ওদিক করে খয়রাশোল, নলহাটি, দুবরাজপুর, ইলামবাজার, মহম্মদবাজার থানায় ‘পোস্টিং’ খেটেছেন। ওই থানা এলাকাগুলি বালি, পাথর, গরু পাচারের আসল জায়গা। আর ওই সব থানা এলাকাতে ম্যানেজ মাস্টার হিসাবে কাজ করত বলে সূত্রের খবর।
তদন্তকারীরা মনে করছে, এই পাচারে পুলিশের একটা বড় অংশ জড়িয়ে থাকতে পারে। এর পেছনে একটি অদৃশ্য হাত রয়েছে ।সেই হাতের সন্ধানে অনুব্রত এবং পুলিশ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। এইভাবেই মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে চাইছে তদন্তকারীরা।তবে ইতিমধ্যে সিবিআই এর হাতে ইন্সট্রুমেন্টাল প্রচুর প্রমাণ এসেছে বলে সূত্রের খবর।