আরও পড়ুন- উঠেছে মাস্কের পাট? ১০ গুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য XE Recombinant নিয়ে সাবধান করল হু
গতকাল ৩৭৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ২৩০ জন মুম্বইয়ের বাসিন্দা। মুম্বইয়ের ২৩০ টি নমুনার মধ্যে ২২৮ টি ওমিক্রন, একটি কাপ্পা এবং একটি XE। মোট ২৩০ রোগীর মধ্যে ২১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল, যদিও তাদের কারোরই অক্সিজেন বা ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটের প্রয়োজন পড়েনি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১২ জনের টিকাকরণ হয়নি এবং ৯ জনের দু’টি ডোজই নেওয়া হয়েছে।
advertisement
XE রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস কী?
XE হল একটি রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস যার বিষয়ে অবহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটি Omicron BA.1 এবং Omicron BA.2 এর সংমিশ্রণে জাত নয়া ভাইরাস। সম্প্রতি, ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) একটি সমীক্ষা জানিয়েছে, বর্তমানে ৩ টি হাইব্রিড কোভিড ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। ডেল্টা এবং BA.1 এর দু’টি ভিন্ন সংমিশ্রণ হল XD এবং XF। তৃতীয়টি হল XE।
কী এর উপসর্গ?
কোভিড-১৯ ভাইরাসের লক্ষণ ও তীব্রতা প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে আলাদা দেখা গিয়েছে। টিকা নেওয়া হয়েছে কী না, পূর্ববর্তী সংক্রমণের পরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে কী না ইত্যাদি বিষয়ের উপর তা নির্ভর করে। এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- জ্বর, গলা ব্যথা, গলা খুসখুস, কাশি এবং সর্দি, ত্বকের জ্বালা এবং বিবর্ণতা, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল যন্ত্রণা ইত্যাদি। গুরুতর কিছু উপসর্গ হল হৃদরোগ, বুক ধড়ফড়, এবং গুরুতর স্নায়ু রোগ।
আরও পড়ুন- ভ্রমণ করতে হলেই বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ? সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্র
কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, XE রিকম্বিন্যান্ট প্রথম ১৯ জানুয়ারি ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং তখন থেকে ৬০০ টিরও বেশি সংক্রমণের খবর মিলেছে এবং নিশ্চিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যতক্ষণ না সংক্রমণ এবং রোগের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য, তীব্রতা দেখা যাচ্ছে ততক্ষণ XE-কে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অন্তর্গতই বলা যেতে পারে।