ঘটনাচক্রে অনুব্রত যেদিন তিহাড় জেলে গেলেন, সেদিনই বীরভূমের বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তি হল৷ এ বিষয়ে অনুব্রতকে এ দিন প্রশ্ন করা হলেও অবশ্য তিনি কোনও জবাব দেননি৷ মুখ খোলেননি পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও৷ দৃশ্যতই হতাশ দেখাচ্ছিল অনুব্রতকে৷
ইডি হেফাজত শেষে এ দিন ফের অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে তোলা হয়৷ তিহাড় জেলে অনুব্রতর জন্য ওয়েস্টার্ন টয়লেটের আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। ইডির আইনজীবী অনুব্রতকে জন্ম তারিখ জিজ্ঞাসা করলে অনুব্রত মণ্ডল জানান তাঁর জন্ম তারিখ ১৯৫৯ সালের ৪ অগ্রহায়ণ।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরসভার 'নিয়োগেও' অয়ন-যোগ? ডায়মন্ডহারবারে চাকরি 'দুর্নীতি'তে নাম সল্টলেকের প্রোমোটারের!
এর আগে গতকাল অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে তিহাড় জেলে পাঠিয়েছে আদালত। অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠায় দিল্লির আদালত। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষক সায়গল হোসেনও তিহাড় জেলেই বন্দি রয়েছেন৷
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি৷ যদিও পর পর দু বার সেই তলব এড়িয়েছেন সুকন্যা৷ শুধু সুকন্যা একা নন, সুকন্যার গাড়ির চালক, অনুব্রতর বাড়ির প্রাক্তন পরিচারক এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকেও দিল্লিতে তলব করা হয়৷ কিন্তু কেউই ইডি-র সামনে হাজিরা দেননি৷ এই অবস্থায় ইডি সুকন্যা সহ বাকিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় কি না, সেটাই এখন দেখার৷