আহমেদাবাদের এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যাত্রী, বিমানকর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দা ও মেডিক্যাল পড়ুয়া মিলিয়ে ২৭৯ জনের মৃত্যু খবর নিশ্চিত করা হয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে গুজরাতের আনন্দ শহরেরই ৩৩ জন বাসিন্দা ছিলেন৷ মোনালি এবং সানি তাঁদের মধ্যে অন্যতম৷
advertisement
ওই দম্পতির এক আত্মীয় এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, স্ত্রী মোনালি অসুস্থ থাকায় লন্ডনে ব্যবসা থেকে ছুটি নিয়ে ভারতে এসেছিলেন সানি৷ স্ত্রীকে দেখাশোনার জন্য লন্ডনে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন মোনালি৷
জিগনেশ পটেল নামে ওই আত্মীয়ের কথায়, ওরা গত দু মাস ধরে ভারতে ছিলেন৷ মোনালির চিকিৎসা চলছিল৷ সানি তাই ব্যবসা থেকে সময় বের করে স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য ভারতে এসেছিলেন৷
জিগনেশ জানিয়েছেন, মোনালিকে তিনি নিজের বোনের মতোই দেখতেন৷ গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছেও তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মেসেজ করেছিলেন মোনালি৷ বিদায় জানিয়ে তাঁদের আশীর্বাদ চেয়েছিলেন মোনালি৷ কিন্তু তখনও তাঁরা কেউই জানেন না যে এটাই তাঁদের শেষ কথোপকথন হতে চলেছে৷
দুর্ঘটনার পরই খবর পেয়ে লন্ডন থেকে ভারতে আসেন মোনালির বাবা-মা৷ যদিও মেয়ে এবং জামাইয়ের মৃত্যুসংবাদ এখনও জানেন না তাঁরা৷ এই মুহূর্তে অসুস্থ অবস্থায় মোনালির বাবা-মা হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷