TRENDING:

করোনাজয়ী অ্যান্টিবডিযুক্ত শরীরেও কি ভ্যাকসিন লাগবে? জানুন

Last Updated:

সম্প্রতি এই মর্মে বেশ কয়েকটি সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। একবার করোনায় আক্রান্ত হলে এবং সেরে উঠলে রোগীর শরীরে তার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নিউ ইয়র্ক: সবার প্রথমে একটা কথা স্পষ্ট না করে নিলেই নয়! যে সমীক্ষাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের মতামত পোষণ করেছেন চিকিৎসকেরা, তা কিন্তু এই দেশের নয়, চিকিৎসকেরাও এই দেশের নন। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের সর্বত্রই এক রকম! আবার, কারও শরীরে জোরালো, কারও বা কম হলেও অ্যান্টিবডির ভাইরাস প্রতিহত করার সূত্রটিও এক! আর সেখান থেকেই দেখা দিয়েছে এক বিতর্ক- যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের কি ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন আছে?
advertisement

সম্প্রতি এই মর্মে বেশ কয়েকটি সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। একবার করোনায় আক্রান্ত হলে এবং সেরে উঠলে রোগীর শরীরে তার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরেরা সাফ বলছেন যে সেটা যথেষ্ট নয়। ভ্যাকসিন নিলে সুরক্ষা পোক্ত হবে এবং শরীরে অ্যান্টিবডির কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পাবে। এই প্রসঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে ইঙ্গিত করেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন যে মৃদু উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীন করোনা-রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি খুব কম পরিমাণে উৎপন্ন হয়, ফলে তা দীর্ঘকাল ভাইরাস ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। সেই দিক থেকেও ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

advertisement

ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোর ইমিউনোলজিস্ট জেনিফার গমরম্যান জানিয়েছেন যে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় ইতিপূর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এমন মানুষদের রক্তপরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তার পর দেখা গিয়েছে যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস B1351 প্রতিহত করার অ্যান্টিবডি এঁদের শরীরে তৈরি হয়নি। এখানেই কাজে আসবে পাইজার বা মডার্না ভ্যাকসিনের ডোজ, বলছেন সিয়াটলের ফ্রেড হাচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারের ইমিউনোলজিস্ট অ্যান্ড্রু টি ম্যাকগুয়ের।

advertisement

এর পরেই অবধারিত ভাবে একটি প্রশ্ন উঠে আসে- ভ্যাকসিনের কতটা ডোজ এক্ষেত্রে উপকারে আসবে?

এই প্রসঙ্গে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সমীক্ষা আবার ধন্দে ফেলে দিয়েছে বিশ্বকে। আগে করোনা হয়েছিল, এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে এই সমীক্ষায় করোনার ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় যে প্রথম ডোজে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি শরীরে উৎপন্ন হয়েছিল, দ্বিতীয় ডোজে তা হচ্ছে না, তার পরিমাণ গিয়েছে কমে!

advertisement

ফলে এই সব সমীক্ষা মিলিয়ে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাইয়ের ইকান স্কুলের ইমিউনোলজিস্ট ফ্লোরিয়ান ক্র্যামার ভ্যাকসিনের একটিই ডোজ নেওয়ার উপরে জোর দিতে চেয়েছেন। যদিও তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে প্রথম ডোজটি দেওয়ার পর রোগী বা গ্রহীতাকে চোখে চোখে রাখতে হবে। কেন না, এর মাঝে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমে এসে তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

অনির্বাণ চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
করোনাজয়ী অ্যান্টিবডিযুক্ত শরীরেও কি ভ্যাকসিন লাগবে? জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল