গত বছরের তুলনায় এ বছর আরও ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে করোনা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাকেও বাড়িয়ে দিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। যা মার্চের শুরুতেও দেশের দৈনিক মৃত্যু থাকছিল ১০০-১৫০ ঘরে। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৮ জনের। দেশে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১,২২,৫৩,৬৯৭ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৯৮ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৯.৫ শতাংশ। আর এখনও পর্যন্ত টিকাকারণ হয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৫ জনের।
advertisement
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্র, কেরল, দিল্লি এবং কর্ণাটকের দৈনিক সংক্রমণ সবথেকে বেশি। সরকারি হিসেবে মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৯৬ আর মৃত্যু হয়েছে ৫৮,২৪৫ জনের৷ গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫১,৭৫১ জন আর মৃত্যু হয়েছে ২৫৮ জনের। মহারাষ্ট্র জুড়ে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফু। কেরলে আক্রান্ত ১১ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৮২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪,৭৯৪। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৫,৬৯২ জন। কর্ণাটকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৬৯ আর মৃত্যু হয়েছে ১২,৯৪১ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্ত ৯ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭,৩১১ জনের।
তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৪০ হাজার ১৪৫ আর মৃত্যু হয়েছে ১২,৯২৭ জনের। দিল্লিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৮৮ জন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১১,৩৫৫ জনের। উত্তরপ্রদেশে করোনায় আক্রান্ত ৭ লক্ষ ৫ হাজার ৬১৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯,২২৪ জনের। দেশের মধ্যে অষ্টম স্থানে পশ্চিমবঙ্গ, এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,১৯,৪০৭ জন, আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৪১৪। গত ২৪ ঘণ্টায় ছত্তিশগড় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৫৭৬ জন। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৫৬,৮৭৩ আর মৃত্যু হয়েছে ৫,০৩১ জনের।