এদিকে দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৭৯৭ জন। দিল্লিতে আক্রান্ত ৪৯৫ জন। গতকালই এক জনের মৃত্যু হয়েছে ওমিক্রণ আক্রান্ত হয়ে। রাজস্থানের উদয়পুরে এক ৭৩ বছর বয়সী ব্যক্তির ওমিক্রণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এটিই ভারতে প্রথম ওমিক্রণ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
advertisement
আরও পড়ুন: একদিনে সংক্রমণের ডবল সেঞ্চুরি পার, বাংলার 'এই' জেলার পরিস্থিতিও মারাত্মক!
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দেশের ২৮ জেলা সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রাজ্যগুলির তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, ঝাড়খন্ড, গুজরাটের মতো রাজ্যেগুলি। সাপ্তাহিক সংক্রমণ এবং আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে এই রাজ্যগুলিতে। পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের হার ১৬.৫! দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: কেন কলকাতায় 'রেকর্ড' সংক্রমণ, মুখ খুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
দেশের অন্য রাজ্যগুলিতেও সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে। অন্য দিকে, নীতি আয়োগ সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, পূর্বে যে দুটি টিকা নিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী থেকে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা, তাদের সেই টিকাই ‘প্রিকশন ডোজ’ দেওয়া হবে। তারা যদি কোভ্যাক্সিন নিয়ে থাকেন, সেটাই দেওয়া হবে। আর যদি কোভিশিল্ড নিয়ে থাকেন প্রথম দুটি ডোজ, তবে সেই ডোজই দেওয়া হবে ‘প্রিকশন ডোজ’। মিক্সড ডোজ দেওয়া হবেনা। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।