গত ২ জুন, সন্ধে ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পরে তিন তিনটি ট্রেন৷ ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়া-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা৷ একের পর এক ধ্বংসস্তূপ সরাতেই সামনে আসতে থাকে একের পর এক মৃতদেহ৷
আরও পড়ুন: অসহ্য পচা গন্ধে মরা ইঁদুরের খোঁজ শুরু করেছিল ফ্ল্যাটের লোকেরা, তারপরেই যা সামনে এল… বীভৎস!
advertisement
দুর্ঘটনার পরে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত পাঠানো হচ্ছিল বালেশ্বরের হাসপাতালে৷ উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ এনে রাখা হচ্ছিল বাহানাগার এই স্কুলের প্রার্থনা কক্ষে৷ এই স্কুলে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয় বলে জানা গিয়েছে৷ বর্তমানে গরমের ছুটি চলছিল৷ আগামী ১৯ জুন খুলবে স্কুল৷ এর মধ্যেই নতুন প্রার্থনা কক্ষ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ৷
ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে স্কুল কক্ষের একাংশ৷ হচ্ছে নতুন রঙ, চালে নতুন টিন৷ স্কুল দেখতে আসা এক অভিভাবক বলেন, ‘‘ভয় করছে.. বাচ্চা স্কুলে পড়ে.. তাই ঘরটা ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি৷’’ অন্যদিকে, ঘটনার সময় যিনি সারাক্ষণ সেই ২০৫টি মৃতদেহ পাহারা দেওয়া জন্য মোতায়েন ছিলেন স্কুলের সেই নিরাপত্তারক্ষী অনিরুদ্ধ পানিগ্রাহী বলেন, ‘‘দেহ যখন ছিল তখন ভয় করেনি.. কিন্তু সব দেহ চলে যাওয়ার পর একা থাকতে ভয় করে..২৪ ঘণ্টা দেখেছি বডি আসতে.. আমি একাই পাহারা দিতাম ২৪ ঘণ্টা..৷’’
আরও পড়ুন: কোনও রাজনৈতিক নেতার ভিড় নয়! ঘরোয়া অনুষ্ঠানে মেয়ের বিয়ে দিলেন নির্মলা সীতারামণ
যদিও স্কুলের দশম এক ছাত্র জানান, তার এতে ভয়ের কিছু মনে হচ্ছে না৷ প্রিয়াংশু মহালিকা বলে, ‘‘আমার ভয় করছে না… ভয় কেন করবে… স্কুল এর বাচ্চাদের একটু ভয় হতে পারে…মানুষের মৃত্যু হয়েছে, পাশে না থাকলে কে এসে দাঁড়াবে?’’