যোগাযোগ ছিল না স্টেশন মাস্টার ও সিগন্যালিং-এর?
লাইনে সিগন্যালিং-এর কাজ হয়েছিল দুর্ঘটনার আগে?
কাজ শেষ হওয়ার আগেই ট্রেন যাওয়ার ছাড়পত্র?
তার জেরেই বালেশ্বরে এত ভয়াবহ দুর্ঘটনা?
কার দায়িত্ব ছিল এই রিলে রুমে এসে কাজ বুঝে নেওয়ার?
তদন্তকারীদের নজরে বাহানগাবাজার রিলেরুম। অপরদিকে শুরু হয়েছে প্রত্য়ক্ষদর্শী ও রেলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ। সিআরএস (কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি) এএম চৌধুরী ও তাঁর টিম জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। রেকর্ড করা হচ্ছে বয়ান। রেলের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে সিআরএস। রেলের স্টাফদের কার কী ভূমিকা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এক্ষেত্র তাঁদের বয়ান সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কে কী দায়িত্বে ছিলেন, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে কে কী করছিলেন জানা হচ্ছে সবটাই।
advertisement
অন্য়দিকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেল বোর্ড, এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ভুবনেশ্বরের রেল সদনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী। সেখানেই এই খবর জানান তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, ঘটনার গুরুত্ব মাথায় রেখে এবং প্রশাসনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তার ভিত্তিতে রেলওয়ে বোর্ড এই মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন- এত লোক মারা গেল এর দায় কার? ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনা নিয়ে ফের বিস্ফোরক অভিষেক
সিবিআই তদন্তের বিষয়টির পরেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। রেলমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, পয়েন্ট মেশিনের সেটিং পরিবর্তন করা হয়েছিল। কীভাবে এবং কেন এটি করা হয়েছিল তা তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হবে। ভয়াবহ ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি বিস্তারিত জানাতে চাই না। রিপোর্ট আসুক। আমি শুধু বলব যে অপরাধমূলক কাজের মূল কারণ এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা পয়েন্ট মেশিন এবং ইন্টারলকিং সিস্টেম কীভাবে কাজ করে তা ব্যাখ্যা করার সময় বাইরের কারও হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি। রেলওয়ে বোর্ডের অপারেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্টের সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা বলেন, ‘এটিকে একটি ফেল-সেফ সিস্টেম বলা হয়। এর মানে হল, এটি ব্যর্থ হলেও সমস্ত সংকেত লাল হয়ে যাবে এবং সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে৷ রেলমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন, সিগন্যালিং সিস্টেমে সমস্যা আছে, এটাও হতে পারে যে কেউ তারগুলি না দেখে কিছু খনন করেছে।’