প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ট্রেনের তিনটি স্লিপার বগি ছাড়া বাকি পুরো ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই ট্রেনটি একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাইনচ্যুত হয়। এ দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। লাইনচ্যুত বগির সংখ্যা ১৮টি বলে জানা গিয়েছে, প্রচুর যাত্রী ট্রেনের কামরার মধ্যে আটকে আছে বলে খবর। প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ত্রাণ কাজ শুরু করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে অভিষেকের পদযাত্রা, উচ্ছ্বসিত মমতা! ২১-এর হার নিয়ে চমকে ওঠা দাবি
দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করেন, ” ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ। মৃত ও আহতদের পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সম্ভাব্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।”
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে মৃতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের জন্য ২ লাখ টাকা এবং অল্প চোটআঘাত প্রাপ্তদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি।
ঘটনার পর রেলের পক্ষ থেকে হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তথ্য ও আহতদের খোঁজ নিতে রেলের দেওয়া হেল্প লাইন নম্বরগুলি হল- হাওড়া ডিভিশনের জন্যে – 033-26382217। খড়গপুর ডিভিশনের জন্যে – 8972073925 // 9332392339 বালেশ্বর হেল্পলাইন – 8249591559/ 7978418322 শালিমার হেল্পলাইন – 9903370746।
রেলের একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোনও সংঘর্ষ হয়নি। প্রথমে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেটি গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে। সেই লাইন দিয়ে তখন আসছিল ১২৮৬৪ ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত কামরাগুলিকে। সেই ধাক্কার অভিঘাতে করমণ্ডলের ইঞ্জিন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে-থাকা মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, করমণ্ডলের ইঞ্জিনটি যে ভাবে মালগাড়ির উপর উঠে পড়েছে, তা পিছন থেকে ধাক্কা মারলেই সম্ভব।