ক্যাগের শেষ রিপোর্টে উল্লেখ হয়েছে, পরিকাঠামো বা সংস্কারের কাজে যথাযথ নজর নেই৷ মোট ৩৫০ জায়গায় বেলাইনের তদন্ত হওয়া দরকার থাকলেও তা হয়েছে ১৬৯ জায়গায়। ১৮১টি ক্ষেত্রে কোনও তদন্ত রিপোর্ট জমাই পড়েনি।
২০১৭ থেকে ২০২১ সালের রিপোর্টে বলা রয়েছে শেষ ৪ বছরে মোট ২১৭টি রেল দুর্ঘটনা হয়েছে। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে কারণ ট্রেন বেলাইন হওয়া। চার বছরে ২১১টি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সিগন্যাল সংক্রান্ত সমস্যা ছিল।
advertisement
২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকার ‘রাষ্ট্রীয় রেল সুরক্ষা কোষ’ গঠিত হয়। এই টাকা দিয়ে পরিকাঠামোগত খরচ করার কথা। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই কাজ হয়নি।
নতুন করে ট্র্যাক পাতার খাতে বরাদ্দ ক্রমেই কমেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বরাদ্দ হয়েছিল ৯,৬০৭.৬৫ কোটি টাকা। সেখানে পরের বছরের বরাদ্দ হয়েছে ৭,৪১৭ কোটি টাকা।
রেল লাইন পরিদর্শন এবং সুরক্ষার জন্য যত সংখ্যক কর্মী রাখার কথা তা রাখা হয়নি। ট্র্যাক রেকর্ডিং কারের’ পরিদর্শন চলে, তা নিয়মিত হয়নি। সফটওয়্যার নির্ভর ‘ট্র্যাক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে নজরদারি নেই।
২০২০-২১ সালে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে পুরনো ট্র্যাক বদলেছ রেল। এদিকে সিএজি-র অনুমান, এই কাজ করতে প্রয়োজন ছিল প্রায় ৪৫ হাজার কোটি।
২০২২ সালে সিএজি-র ২৩তম রিপোর্টে দাবি করা হয়, ট্র্যাক বদলের জন্য রেলের কাছে যে ‘ডেপ্রিসিয়েশন রিজার্ভ ফান্ড’ রয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। রেললাইনের দেখভালের জন্য এই তহবিল থেকে মাত্র ৬৭১.৯২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যদিও সব মিলিয়ে এক বছরেই খরচ হওয়ার কথা ৫৮ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা।
সিএজি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, রেলের পুরনো কাঠামো, সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ, রেললাইন পালটাতে ‘ডেপ্রিসিয়েশন রিজার্ভ ফান্ড’ থেকে প্রায় ৯৪,৮৭৩ কোটি টাকার প্রয়োজন (২০২০-২১ সাল পর্যন্ত)। এর মধ্যে রেললাইন মেরামতি ও দেখভালের জন্য ৫৮ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা খরচ করতে হত, রোলিং স্টকের জন্য খরচ হত ২৬,৪৯৩ কোটি। রেল সেতু এবং টানেলে কাজের জন্য খরচ হত ৩ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। সিগন্যালিং এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে খরচ হত আনুমানিক ৮১৫ কোটি।