এদিকে, রাজ্যের একের পর এক বাসিন্দার খোঁজ মিলছে ঘটনাস্থল এমনকী হাসপাতাল থেকে। এই যেমন, বিজয় মণ্ডল(৫৫), বাড়ি চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে। কটকে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য। চন্দ্রকোনার বোনা এলাকার এই ব্যক্তির কোনো খোঁজ পাচ্ছে না বাড়ির লোকজন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা ফোন বন্ধ, সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। তাঁর সাথে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও বিজয় মণ্ডলের সম্পর্কে কিছু খোঁজ দিতে পারছেন না।
advertisement
বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার বাকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা মনসা পাত্র মাসখানেক আগে পরিবারের অনটনের জন্য বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন শ্রমিকের কাজ করার জন্য। সেখান থেকে এক মাস বাদে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। হামসাফার এক্সপ্রেসে, রাতেই খড়্গপুরে নামার কথা ছিল মনসা পাত্রের। তার আগেই ওড়িশার বালেশ্বর সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই ট্রেনটি। দুর্ঘটনায় আহত হযন মনসা পাত্র। তার মাথায় সামান্য চোট লাগে। পরিবারের লোকজন ইতিমধ্যে আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছে কখন তাদের সন্তান বাড়ি ফিরবে। অধীর আগ্রহে রয়েছেন তাঁর বাবা-মা।
আরও পড়ুন: ওড়িশার হাসপাতালে শিউরে ওঠা দৃশ্য! ভর্তি করা হয়েছিল ১৬৫ জনকে, তারপর যা ঘটল…
এদিকে, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের লেবুখালির দুই বাসিন্দা গুরুতর আহত। আহতদের নাম শহিদুল ইসলাম মোল্লা ও পারুল মোল্লা। সম্পর্কে এরা শ্বশুর ও বৌমা। পারুলের স্বামী কর্মসূত্রে চেন্নাই থাকেন। সেই কারণেই তারা গতকাল শালিমার থেকেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যাত্রা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ‘তিন মাসের বাচ্চাটার কী হল?’ বেঁচে ফিরে এখনও ভাবছেন সোনারপুরের সুকান্ত
শুক্রবারের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন পুলিশ জেলার এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় জখম আরও অন্তত ১৬ জন। কাকদ্বীপের হারুউডপয়েন্ট কোস্টাল থানার শ্রীনগর গ্রামপঞ্চায়েতের শ্যামনগরের বাসিন্দা হালিম মোল্লার (২৫) মৃত্যু হয়েছে। রাজমিস্ত্রির কাজে কেরলে যাচ্ছিলেন। হালিমের সঙ্গী আরও চারজন সরোয়ার মোল্লা, জহিরুদ্দিন মোল্লা, রফিক মোল্লা ও হাসিবুর মোল্লা গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। জখমদের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজনেরা। এরা একই পরিবারের সদস্য।অন্যদিকে মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌষট্টি বাড়ি মণ্ডলপাড়া এলাকার আরও ১১ জন বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে কেরালায় যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সকলেই। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজনেরা।