আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দেশজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে (Congress Membership Drive) নামতে চলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই বিশেষ কর্মসূচিতে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং মহিলা ভোটারদের বিশেষভাবে দলে টানার চেষ্টা করা হবে। সেই সঙ্গে প্রথমবার ভোট দেবেন এমন যুবদের দলে টানতে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে চায় দল। সেজন্য দলের নেতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নেতাকর্মীদের তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। দেশের প্রতিটি প্রান্তে, প্রতিটি কোণে কংগ্রেস কর্মীরা যাবেন।
advertisement
আরও পড়ুন-সময় পেরোলেও দ্বিতীয় ডোজ নেননি ১১ কোটি মানুষ! তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক, এআইসিসির পর্যবেক্ষক এবং দলের বিভিন্ন স্তরের পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বৈঠকের শুরুতেই দলের নেতাদের উদ্দেশে সোনিয়া বলেছেন, "বিজেপি-আরএসএস-এর নোংরা নীতির বিরুদ্ধে আমাদের জোরদার প্রচার করতে হবে। এই লড়াই জিততে দৃঢ়তার সঙ্গে ওদের মিথ্যার মুখোশ মানুষের সামনে খুলে দিতে হবে। দেশে নানা সমস্যা রয়েছে, সেগুলির বিস্তারিত বিবরণ প্রতিদিন এআইসিসি-র তরফে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলছে তা দলের নীচু তলার গিয়ে পৌঁছয় না। নীতিগত প্রশ্নেও রাজ্যস্তরের নেতার মধ্যেও অসামঞ্জস্যতা ও অনৈক্য রয়েছে।"
আরও পড়ুন-মমতাকে স্নেহ করে গান্ধী পরিবার', কেন ক্ষোভ আর অভিমানে ফেটে পড়লেন অধীর চৌধুরী!
ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে বিশাল সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। সোনিয়া এদিন আরও বলেছেন, "বিজেপি-আরএসএস-এর বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণামূল প্রচার আক্রমণের অবিরাম মোকাবিলার জন্য অবশ্যই আমাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এবং জনগণের কাছে কংগ্রেসের মূল নীতি-আদর্শকে তুলে ধরার প্রয়াস চালাতে হবে।"
দলের সভানেত্রী সুরে সুর মিলিয়ে বৈঠকে উপস্থিত নেতারা প্রায় সমস্বরে বলেছেন, কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে শৃঙ্খলা এবং ঐক্যের উপর সব থেকে বেশি জোর দিতে হবে। ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খাকে পরিত্যাগ করতে হবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের অন্দরে চূড়ান্ত ডামাডোল এবং দলের ভাঙন ঠেকাতেই অবশেষে ময়দানে নেমেছেন সোনিয়া গান্ধী।
RAJIB CHAKRABORTY