পুলিশের একটি সূত্র News18-কে জানিয়েছে, ২০১৮ সালে অ্যান্টি-হাইজ্যাকিং ইউনিট থেকে সরিয়ে শ্রীনগর বিমানবন্দরে পোস্ট করা হয় দেবেন্দ্র সিংকে৷ তিনি ছিলেন দার জেলার ডিএসপি৷ স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের সদস্য ছিলেন না৷ এই গ্রুপ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ইউনিট৷
অধীর এ দিন বলেন, 'কাশ্মীর উপত্যকায় অস্ত্রধারীদের রক্ষা কবজ ফাঁস হয়ে গিয়েছে৷ যদি দেবেন্দ্র সিং না হয়ে খান হত, তা হলে গর্জে উঠত আরএসএস-এর ট্রোল আর্মি৷ আমাদের দেশের শত্রুদের কোনও রং, জাত ও ধর্ম দেখা হবে না৷ আসলে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জন্য একটি নতুন মুখ দরকার ছিল৷ দেবেন্দ্র সিংয়ের নামও অভিযুক্তদের তালিকায় যুক্ত করা উচিত৷ বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার৷'
এরপরই বিজেপি পাল্টা আক্রমণ করে বলে, 'পাকিস্তানকে বারবার ক্লিনচিট কেন দিচ্ছে কংগ্রেস৷ পাক সুরে কথা বলছে কংগ্রেস৷ পাকিস্তানকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে কংগ্রেস৷' পুলওয়ামা তর্জায় কংগ্রেসের পাশে অবশ্য দাঁড়িয়েছে শিবসেনা৷
পুলিশের জেরায় দেবেন্দ্রর দাবি করেছে, হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডর সৈয়দ নভিদ মুস্তাক ও জঙ্গি রফি রাথারের সঙ্গে মিলে একটি আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা চালাচ্ছিল৷ এই প্রক্রিয়ায় আইনজীবী ইরফান শফি মিরও জড়িত রয়েছেন৷ মির হল প্রাক্তন আইনজীবী, অন্তত ৫ বার পাকিস্তানে যাতায়াত করেছেন৷ জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, 'দাভিন্দর আত্মসমর্পণের তত্ত্ব দিচ্ছে, কিন্তু আমরা তদন্ত করে দেখছি৷'
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর একটি যৌথ বাহিনী এই ঘটনার তদন্ত করছে৷ সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা দেবেন্দ্রর আত্মসমর্পণ তত্ত্ব খারিজ করেছে৷ সূত্রের খবর, ১২ লক্ষ টাকায় রফা হয়েছিল৷ দাভিন্দর নিজে ছিলেন গাড়িতে৷ ভেবেছিল, ডেপুটি সুপারের গাড়ি কেউ থামিয়ে তল্লাশি করবে না৷ প্রসঙ্গ, দক্ষিণ কাশ্মীরে ট্রাক ড্রাইভারের হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্তই হল মুস্তাক নামে ওই জঙ্গি৷