দোড়গোড়ায় লোকসভা নির্বাচন ৷ সেই নির্বাচনের আগে একের পর এক ইস্যুতে দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির একে অপরকে কাঠগড়ায় তুলছে ৷ কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ ৷ এহেন পরিস্থিতি কর্ণাটকের সাম্প্রতিক অবস্থাকেই হাতিয়ার করলেন মোদি ৷ তিনি বলেন, ‘দেশের কৃষকদের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই কংগ্রেসের ৷ তৎক্ষণিক লাভের লোভ দেখিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চায় তারা ৷ কিন্তু আদতে এই সমস্ত ঘোষণা করে দেশবাসীকে বোকা বানাচ্ছে কংগ্রেস ৷’
advertisement
কংগ্রসকে ‘ললিপপ কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিঋণ মুকুবের পরিবর্তে চাষীদের হাতে ললিপপ তুলে দিচ্ছে কংগ্রেস ৷ কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসার পর ৬-৭ মাস কেটে গিয়েছে ৷ কিন্তু মাত্র ৮০০ জন কৃষকের ঋণ মুকুব হয়েছে ৷’ তবে, সাধারণ মানুষের উপর ভরসা রয়েছে মোদির ৷ কংগ্রেসের এই ধরণের মনভোলানো কথায় যে চিঁড়ে ভিজবে না সেই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদি ৷
১৫ বছর পর মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস ৷ পাশাপাশি রাজস্থান এবং ছত্তীসগড়েও ধরাশাসী বিজেপি ৷ রাজনৈতিক মহলের মত, মোট ভোটের অর্দ্ধেকেরও বেশী ভোট আসে দেশের কৃষকদের হাত ধরে ৷ সেই কারণেই ধরাশায়ী অবস্থা বিজেপির ৷ কারণ দেশে কৃষকদের অবস্থা শোচনীয় ৷ ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ার জেরে ঋণের বোঝায় আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন অনেকে ৷ এহেন পরিস্থিতিতে কৃষিঋণ মুকুবকে হাতিয়ার করেই ক্ষমতায় আসতে চাইছে কংগ্রেস ৷ কৃষিঋণ মুকুব-সহ একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কংগ্রেসের নেতা নেতৃত্বরা ৷ কিন্তু আদতে সেই সব কিছুই ভিত্তিহীন ৷ তার প্রমাণ কর্ণাটক ৷ এমনটাই দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদি ৷