পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের একজন ২০ বছর বয়সী মহিলার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন ২০২৩ সালে। নির্যাতিতা তখন একটি কলেজের ছাত্রী। পরে সেই বছরের নভেম্বর মাসে, অভিযুক্ত যুবক ওই তরুণীকে একটি হোটেলে জলখাবার খেতে ডাকেন। সেই সময়ে ওই যুবক ইচ্ছাকৃতভাবে তরুণীর পোশাকে খাবার ফেলে দেন এবং তা পরিষ্কার করার অজুহাতে তাকে একটি ঘরে নিয়ে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! সপ্তাহের শেষে বিপদ বহু জেলায়
পুলিশ জানিয়েছে, যখন সেই ছাত্রী বাথরুমে তাঁর পোশাক খুলেছিলেন, তখন অভিযুক্ত বিশাল চৌধুরী ভিতরে ঢুকে সেই দৃশ্যের ভিডিও করেন। তরুণী প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত যুবক তাঁকে হুমকি দেন, যে ভিডিওটি জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন এবং ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করবেন।
এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। একই ক্লিপ ব্যবহার করে, অভিযুক্ত বিশাল নির্যাতিতা তরুণীকে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন স্থানে সে নিজে এবং তার বন্ধুদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।
নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মহিলা যখন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ৭ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ছ’জন চিহ্নিত এবং একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বারবার ধর্ষণ এবং অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের মামলা দায়ের করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী। তাঁদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।