সেই ব্যাপারে আগেই আপত্তি জানিয়েছিল পাকিস্তান। এ বার তাদের সঙ্গে যোগ দিল চিনও। নয়াদিল্লি অবশ্য পাল্টা কড়া বার্তাও দিয়েছে বেজিংকে।
জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি হিসাবে এই বৈঠকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নানা পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করা। কিন্ত সেই বৈঠকে হাজির থাকছে না চিন।
advertisement
বেজিং জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে এই বৈঠক রয়েছে, তাই তাঁরা তাতে অংশ নেবে না। জম্মু-কাশ্মীরকে ‘বিতর্কিত স্থান’ বলে উল্লেখ করেছেন চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।
তাঁর বক্তব্য, ‘কোনও ‘বিতর্কিত স্থানে’ জি-২০ বৈঠকের আয়োজনের তীব্র বিরোধিতা করছে চিন। এজন্য ওই বৈঠকে চিন যোগ দেবে না।’ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, শ্রীনগরে জি-২০ সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ায় ‘বন্ধু’ পাকিস্তানকে আশ্বস্ত করতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন।
আরও পড়ুন – আবারও কি ফিরছে ১০০০ টাকার নোট? সাংবাদিক বৈঠকে জরুরি কথা জানালেন RBI গভর্নর
আগামী ২২মে থেকে ২৪ মে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠকে বসতে চলেছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন কাশ্মীরে একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে।
এ বার সেখানেই জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে নির্দিষ্ট বার্তা দিতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্ত চিনের পাশাপাশি সৌদি আরব আর তুরস্কও বৈঠকে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বিষয়ে ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন- গাজিয়াবাদ আদালতের চেম্বার নম্বর সি ৫১-র রহস্যটা ঠিক কী? এই কাহিনি মন ভরাচ্ছে
চিন, পাকিস্তান বা আরও দুটি দেশের এই সিদ্ধান্তে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত স্পষ্ট। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, ‘ভারত তার নিজের জমিতে যেখানে খুশি বৈঠক করতে পারে। চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক বজায় রাখার জন্য সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।’