সীমান্ত-বিবাদ নিয়ে এবার কার্যত যুদ্ধের হুমকি চিনের। ডোকলাম থেকে ভারতীয় সেনাকে হঠাতে পালটা সেনা অভিযান চালাতে পারে চিন। সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছে বেজিংয়ের সরকারি দৈনিক গ্লোবাল টাইমস। ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে ছোটখাট সেনা অভিযানের পরিকল্পনা করছে চিনের সেনাবাহিনী। সেই অভিযানের কথা ভারতকে সময়মতো জানিয়ে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন চিনের এক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ। চিনের অন্য এক বিশেষজ্ঞও মনে করছেন, ডোকলামের অচলাবস্থা কাটাতে সামরিক অভিযানের পথে হাঁটতে পারে চিনের পিপলস আর্মি।
advertisement
যুদ্ধ কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। আলোচনার মাধ্যমেই দ্বিপাক্ষিক বিবাদের জট খুলতে হবে। বৃহস্পতিবারই ডোকলাম ইস্যুতে সংসদে এই মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
বৃহস্পতিবার রাতেই সুর চড়ায় চিন। চিনের সেনা মুখপাত্র রেন গুয়োকিয়াং বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেন, ডোকলাম ইস্যুতে বারবার টালবাহানা করছে ভারত। তার ফলে চিনের ধৈর্য শেষ সীমায় চলে গিয়েছে ৷
চিনের সেনা মুখপাত্রের হুঁশিয়ারি,
এবার সরাসরি যুদ্ধের হুঁশিয়ারি চিনের সরকারি সংবাদপত্রের পৃষ্ঠায়। চিনা দৈনিক গ্লোবাল টাইমসে শনিবার একটি উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে হু ঝিয়ং নামে এক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞের দাবি, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে ছোটখাট সেনা অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। হু-র মতে, হয় ডোকলাম সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি করা হবে। না হলে তাদের ভারতীয় ভূখণ্ডে ফিরে যেতে বাধ্য করবে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।
শুক্রবার কাকভোরে তিব্বতে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চিনের সেনাবাহিনী। ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে কীভাবে কোনও এলাকা দখল করা যায়, তা ঝালিয়ে নিতে দেখা গিয়েছে চিনের সেনাবাহিনীকে। ওই মহড়ার সূত্র ধরেই হু ঝিয়ং-এর অনুমান, খুব শিগগিরই হয়তো ভারতের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালাবে চিন।
ওই অভিযান সম্পর্কে আগেভাগেই ভারতের বিদেশমন্ত্রককে ওয়াকিবহাল করে দেওয়া হবে বলে ধারণা হু ঝিয়ং-এর। ঝাও গানচেং নামে এক চিনা বিশেষজ্ঞও মনে করছেন, ডোকলামে চিনের সেনা অভিযান ক্রমশ অবধারিত হয়ে পড়ছে।
বেজিংয়ের নয়া যুদ্ধজিগির নিয়ে কী ভাবছে ভারত? বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে গ্লোবাল টাইমসের উত্তর সম্পাদকীয় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি। তবে ভারতীয় কূটনৈতিক মহলের মতে ডোকলাম নিয়ে এখনই কোনও চরম পদক্ষেপ নেবে না চিন।
তাঁরা মনে করছেন, গ্লোবাল টাইমসের উত্তর সম্পাদকীয় চিনের সরকারি অবস্থান নয়। ভারতীয় কূটনীতিকরা মনে করছেন,ডোকলাম নিয়ে দু দেশের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। সেনা অভিযানের হুমকি দিয়ে তাই নয়াদিল্লির উপরে মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়াতে চাইছে বেজিং। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক বিশেষজ্ঞের মতে, দুই প্রতিবেশীই পরস্পরের দিকে চেয়ে রয়েছে। কে আগে পলক ফেলবে, এখন তারই প্রতীক্ষা।
এদিকে চিনের যুদ্ধের হুঙ্কারের মধ্যেই ডোকলাম নিয়ে বেজিংকে নাম না করে আলোচনার বার্তা মোদির। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, আবহাওয়া পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ-সহ একাধিক সমস্যা গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। আলোচনা ও তর্কের মাধ্যমেই এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান এশিয়ার ঐতিহ্য বলেও মন্তব্য তাঁর।
.quote-box { font-size: 18px; line-height: 28px; color: #767676; padding: 15px 0 0 90px; width:70%; margin:auto; position: relative; font-style: italic; font-weight: bold; }
.quote-box img { position: absolute; top: 0; left: 30px; width: 50px; }
.special-text { font-size: 18px; line-height: 28px; color: #505050; margin: 20px 40px 0px 100px; border-left: 8px solid #ee1b24; padding: 10px 10px 10px 30px; font-style: italic; font-weight: bold; }
.quote-box .quote-nam{font-size:16px; color:#5f5f5f; padding-top:30px; text-align:right; font-weight:normal}
.quote-box .quote-nam span{font-weight:bold; color:#ee1b24}
@media only screen and (max-width:740px) {
.quote-box {font-size: 16px; line-height: 24px; color: #505050; margin-top: 30px; padding: 0px 20px 0px 45px; position: relative; font-style: italic; font-weight: bold; }
.special-text{font-size:18px; line-height:28px; color:#505050; margin:20px 40px 0px 20px; border-left:8px solid #ee1b24; padding:10px 10px 10px 15px; font-style:italic; font-weight:bold}
.quote-box img{width:30px; left:6px}
.quote-box .quote-nam{font-size:16px; color:#5f5f5f; padding-top:30px; text-align:right; font-weight:normal}
.quote-box .quote-nam span{font-weight:bold; color:#ee1b24}
}