ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বমঞ্চে ৷ ভারতের কূটনীতির চালে বিশ্ব মঞ্চে কোণঠাসা পাকিস্তান ৷ সদস্য রাষ্ট্রদের বয়কটের জেরে সার্ক সম্মেলন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ ৷ ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাফল্যের পর তো ক্রমেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ৷ গত কয়েকদিনে লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান ৷ বিশ্বমঞ্চে একঘরে করা ছাড়াও পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধুচুক্তি বাতিলের কথাও ভাবছিল ভারত ৷ কিন্তু এরই মধ্যে জটিলতা বাড়াল পাকিস্তানে মিত্র রাষ্ট্র চিন ৷ তিব্বতের কাছে ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদীর জল রোধ করল চিন ৷
advertisement
চিনের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল হাইড্রো প্রজেক্টের কাজের জন্য ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী জিয়াবুকুর জল প্রবাহ রোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চিন ৷
ব্রহ্মপুত্রের এই শাখানদী তিব্বত হয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশে এসে পড়ে ৷ উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশ এই নদীর নিম্ন তীরবর্তী অঞ্চল ৷ তবে জিয়াবুকুর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে ভারত কতটা অসুবিধেয় পড়বে তা এখনই বলা সম্ভব নয় ৷ বেজিংয়ের দাবি, ভারতের কথা মাথাই রেখেই তারা সিদ্ধান্ত নেবে ৷
জিয়াবুকু নদীর উপরই তৈরি হচ্ছে চিনের এযাবৎকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ‘লালহো’ ৷ এই প্রজেক্টের মোট বাজেট ৪.৯৫ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৭৪০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ৷ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য সিকিমের কাছে জিগেজের কাছে ড্যাম তৈরি করছে চিন ৷ ২০১৪ সালে তিব্বতের জিগজে অঞ্চলে জিয়াবুকুর ওপর এই হাইড্রো প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়, শেষ হবে ২০১৯ সালে ৷
গত বছরই ব্রহ্মপুত্রের উপর নির্মিত জ্যাম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে এতদিন চিন্তিত ছিল ভারত ৷ তাতে ভারতে ব্রহ্মপুত্রের জলপ্রবাহ খানিক কমে ৷ সেসময় কেন্দ্রীয় জসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সানওয়ার লাল জাট বিবৃতি দিয়ে জানান, ভারত ও চিনের মধ্যে কোনও জলবণ্টন চুক্তি নেই ৷ এরপর দুই দেশের মধ্যে প্রবাহমান নদীগুলির জলবন্টন বিষয়ে একটি ‘এক্সপার্ট লেভেল মেকানিজম’ তৈরি করে ভারত ও চিন ৷
ব্রহ্মপুত্রের শাখানদীর প্রবাহ রোধ করার চিনের সিদ্ধান্ত এমন সময়ে সামনে এল, যখন ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি বাতিলের কথা ভাবছে ৷