অভিযোগ, এক বিয়েবাড়ি থেকে শাড়ি এবং খাবার চুরির অভিযোগে দশম স্ত্রীকে সন্দেহ করতে থাকে ধূলা রাম৷ সন্দেহের বশে স্ত্রীকে হত্যার পর পন্দ্রপথ এলাকার লাগোয়া বনে শুকনো পাতার স্তূপে লুকিয়ে রাখে৷ কিছু দিন পর থেকেই তীব্র পচা গন্ধ বেরতে থাকে৷ তখনই জানা যায় পাতার আড়ালে দেহ লুকনো রয়েছে৷
advertisement
পুলিশকে খবর দেওয়ার পর উদ্ধার করা হয় এক মহিলার পচাগলা দেহ৷ এতটাই পচন ধরেছিল যে তার পরিচয় পর্যন্ত জানা যাচ্ছিল না৷ ক্রমে তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে মৃতার নাম বাসন্তী রাই৷ তিনি ধূলা রামের স্ত্রী৷ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে অভিযুক্ত ধূলা রাম৷ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে সে-ও সম্প্রতি এক বিয়েবাড়িতে গিয়েছিল৷ তার অভিযোগ, ওই বিয়েবাড়ি থেকে টাকা, তেল, শাড়ি, খাবার চুরি করেছিল বাসন্তী৷ এই ‘অপরাধের’ ‘শাস্তি’ স্বরূপ স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে ধূলা রাম৷ তার পর বনে গিয়ে শুকনো পাতার স্তূপে লুকিয়ে রাখে দেহ৷ কিন্তু তীব্র পচা গন্ধে প্রকাশ্যে চলে এল তার কুকীর্তি৷
পুলিশের ধারণা, ধূলা রামের আতঙ্ক ছিল যে দশম স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যাবে আগের ৯ জনের মতোই৷ অবহেলা ও অস্তিত্বহীনতার অনাগত আতঙ্ক থেকে এ বার সে-ই স্ত্রীকে খুন করল বলে ধারণা মনোবিদদের৷