যে সমস্ত বিষয় তৃণমূল কংগ্রেস তুলে ধরেছে তা হল, ১. ঐতিহাসিক এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২. এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করেছেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩. অনন্তনাগ থেকে কাজিগুন্ড (২০০৯) সেকশনের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪. ২০১০ সালে কাটরা-কাজিগুন্ড সেকশনের পর্যালোচনা করে পুরোদমে কাজ শুরুর অনুমোদন দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
৫. চেনাব রেলসেতু তৈরির ক্ষেত্রে ব্যাপক জোর দিয়েছেন এবং তাকে নতুন জীবন দিয়েছেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬. ২০০৯ সালে কাটরা-কাজিগুন্ড সেকশনের উদ্বোধন এবং বিশেষজ্ঞ কমিটি পাঠিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেস উল্লেখ করেছে, এই রেল প্রকল্পের ঘোষণা ১৪ বছর আগে, ২০০৯ সালেই করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণায় দেশবাসী জানতে পেরেছিলেন ওই দুর্গম এলাকায় চেনাব নদীর ওপর রেলসেতুর কথা। তথ্য ও প্রমাণ তাই বলছে। শুধু ঘোষণা করাই নয়, ২০০৯-২০১০ এবং ২০১০-২০১১ এর রেল বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে কাটরা-কাজিগুন্ড বিভাগের পরিচালনার কাজ শুরু হয় এবং প্রকল্পের ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজ শেষও হয়। ২০১০ সালের রেলের বাজেট বক্তৃতায় কাজটির পর্যালোচনার পর অনুমোদন করেন তিনি। এরপর ২০১১ সালে ফের রেল বাজেট বক্তৃতায় জম্মু ও কাশ্মীরের ব্রিজ ফ্যাক্টরি এবং জম্মুতে ইনস্টিটিউট ফর টানেল অ্যান্ড ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং তৈরির কথা ঘোষণা করেন। কারণ বিচক্ষণ রেলমন্ত্রী হিসেবে সেইসময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপলব্ধি করেছিলেন যে ওই জায়গায় এই রেল প্রোজেক্টের কাজ করতে গেলে টানেল তৈরির প্রয়োজন রয়েছে।
ফাইল ফোটো
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন সরকার এবং রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করেননি এবং এই রেল প্রকল্প যে আগে ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল সে-কথাও বেমালুম চেপে গিয়েছেন, বলে অভিযোগ কুণাল ঘোষ, সাগরিকা ঘোষ ও ডেরেক ও ্ব্রায়ানের।