ভি নারায়ণন এক অনুষ্ঠানে বলেন, “মাত্র তিন দিন আগে চন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন আমরা পেয়েছি। এটি আমরা জাপানের সহযোগিতায় পরিচালনা করব।”
২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট চন্দ্রযান ৩ মিশনে বিক্রম ল্যান্ডার সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ‘সফট ল্যান্ডিং’ করেছিল৷ চন্দ্রযান-৫ মিশনের অংশ হিসেবে ২৫০ কেজি ওজনের রোভার থাকবে বলে জানা গিয়েছে৷ এটি চন্দ্রযান -৩-এর ২৫ কেজি ‘প্রজ্ঞান’ রোভারের তুলনায় ১০গুণ বেশি ভারী৷
advertisement
চন্দ্রযান মিশনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ভারতের চন্দ্রযান কর্মসূচি চাঁদ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্থাপন করেছে। এ পর্যন্ত তিনটি সফল মিশন পরিচালিত হয়েছে।
চন্দ্রযান-১ (২০০৮):
এটি চাঁদের রাসায়নিক মানচিত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
চাঁদের খনিজ ও ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছিল।
চন্দ্রযান-২ (২০১৯):
ল্যান্ডার চাঁদের মাটিতে নামার সময় ব্যর্থ হলেও, এর কক্ষপথ পরিক্রমণকারী (Orbiter) এখনও চাঁদের উচ্চ-রেজোলিউশন চিত্র ও বৈজ্ঞানিক ডেটা প্রেরণ করছে।
চন্দ্রযান-৩ (২০২৩):
এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল সফট ল্যান্ডিং নিশ্চিত করে।
বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভার চাঁদে অবতরণ করে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
চন্দ্রযান-৪ (২০২৭): এই মিশনের লক্ষ্য চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা।
গগনযান মিশন: ভারতের নিজস্ব মানব মহাকাশ মিশন, যেখানে ভারতীয় নভোচারীরা মহাকাশে যাবেন।
ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন: আইএসআরও পরিকল্পনা করছে একটি নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের, যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) মতো কাজ করবে।
এই নতুন চন্দ্রযান-৫ মিশন ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে চলেছে, যা জাপানের সহযোগিতায় আরও শক্তিশালী ও তথ্যবহুল হবে।