রবিবার গভীর রাতে কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরনোর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন যে, তিন জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর একটি প্যানেল ছিল। এর মধ্যে পীযূষ গয়ালের পাশাপাশি ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এই প্যানেল একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাবের মধ্যে অন্যতম হল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ডাল, ভুট্টা এবং কার্পাস শস্য কেনা।
advertisement
সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, যদিও সোমবার সন্ধ্যায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) এই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেছে। কারণ এই বিষয়টাকে ‘কৃষকদের মূল দাবিকে অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা’ হিসেবে দেখছে ওই সংগঠন। কৃষক নেতৃত্বের দাবি, কেন্দ্রকে সমস্ত (মোট ২৩টি) ফসল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কিনতে হবে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেও সেই প্রতিশ্রুতি ছিল। আলোচনায় কেন্দ্রের তরফে স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলেও মত কৃষক নেতাদের।
আরও পড়ুন : অসংখ্য যাত্রীকে সঠিক সময়ে আরও ভাল পরিষেবা দিতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে বড় পদক্ষেপ পূর্ব রেলের
এর পাশাপাশি ওই সংগঠন আরও জোর দিয়ে জানিয়েছে যে, স্বামীনাথন কমিশনের ফর্মুলা সি২+৫০% এমএসপি-র উপর ভিত্তি করে এই সংগ্রহ হওয়া উচিত। তাঁদের দাবি, বিদ্যমান এ২+এফএল+৫০% পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে এটা হওয়া চলবে না। এখনও পর্যন্ত চার দফার বৈঠকের পরেও স্বচ্ছতার অভাবে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেছে এসকেএম।
ইতিমধ্যেই রবিবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্যানেলের সঙ্গে বৈঠক করা কৃষক নেতারা বলেন, তাঁরা আগামী দুই দিনের মধ্যে নিজেদের ফোরামে সরকারের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন এবং তারপরে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল জানিয়েছেন যে, এমএসপি-র উপর আইন, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ এবং ঋণ মকুবের মতো বিষয় নিয়ে ওই বৈঠকে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
আর এক কৃষক নেতা সরওয়ান সিং পান্ধের বলেন, “১৯-২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা আমাদের ফোরামে আলোচনা করব এবং সেই সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারব।” পঞ্জাব-হরিয়ানার সীমানায় কৃষকদের আন্দোলন চলছে। আইনি এমএসপি গ্যারান্টি-সহ নানা বিষয় নিয়ে দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। আর সেই আন্দোলনের মধ্যেই এই বৈঠক হচ্ছে।