এই সিদ্ধান্ত সামনে আসে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লোকসভায় বক্তব্য পেশ করার কিছু পরেই। তিনি বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন ওই অ্যাপ দিয়ে কোনওভাবেই ‘স্নুপিং’ বা ‘আড়িপাতা’ সম্ভব নয়। এই সঞ্চার সাথী ঘিরে আগেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল কারণ, কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুসারে প্রতিটি ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রতিটি স্মার্টফোনে এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক ভাবে রাখতেই হবে।
advertisement
কেন এই সঞ্চার সাথী ফোনে রাখতে চেয়েছিল কেন্দ্র?
কেন্দ্রের মত ছিল সাইবার সুরক্ষা প্রতি এই সঞ্চার সাথী অ্যাপ প্রতিটি নাগরিককেই সুরক্ষা প্রদান করবে। প্রি ইন্সটল করা এই সঞ্চার সাথী অ্যাপ প্রতিটি স্মার্টফোনেই থাকবে। যা সাইবার দুনিয়ায় প্রতিটি নাগরিককে সুরক্ষা প্রদান করবে।
এই সঞ্চার সাথী অ্যাপে ‘জন ভাগীদারি’-এর কথা বলা হয়। অর্থাৎ কোনও ধরনের অসংগতি ধরা পড়লে এই অ্যাপের মাধ্যমেই তা ধরা পড়বে। আর এই অ্যাপ যে কেউ যখন খুশি ফোন থেকে সরিয়ে দিতে পারবেন।
কেন্দ্র সূত্রে খবর, এই অ্যাপ ডাউনলোড করার পরে এখনও পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৪ লক্ষ মানুষ। আর এই অ্যাপ থেকে দৈনিক ২০০০-এর উপর অভিযোগ দাখিল হয়েছে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র।
কিন্তু, বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারংবার জানানো হচ্ছিল এই অ্যাপের মাধ্যমে ‘আড়িপাতা’ সম্ভব এমনকি ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। এই বিতর্কের মাঝেই শেষে পিছু হটল কেন্দ্র।
