নয়াদিল্লি: মহাসমস্যায় কেরলের বিজেপি সাংসদ সুরেশ গোপী। কেরলে বিজেপির প্রথম লোকসভা সাংসদ হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তিনি। এরপর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদও পান। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই সেই মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আকস্মিক ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। যা জাতীয় রাজনীতিতে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে।
advertisement
রবিবার দলীয় এক অনুষ্ঠানে তিনি কেবল পদত্যাগের ইচ্ছাই প্রকাশ করেননি, নিজের জায়গায় বর্ষীয়ান নেতা সি সদানন্দন মাস্টারকে মন্ত্রী করার সুপারিশ করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। আপাতদৃষ্টিতে এই পদক্ষেপকে দলের প্রতি আনুগত্য এবং এক প্রবীণ নেতাকে সম্মান প্রদর্শনের চেষ্টা বলে মনে হলেও, এর আড়ালে লুকিয়ে থাকা বার্তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক মহল।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সুরেশ গোপীর এই মন্তব্য তাঁর রাজনৈতিক অপরিপক্বতা এবং মোহভঙ্গেরই ইঙ্গিত। দক্ষিণ ভারতের বিনোদন দুনিয়ার অন্যতম নাম সুরেশ গোপী। তিনি ২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। যদিও সুরেশের দাবি, তিনি ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি সিনেমা ও অভিনয় ছেড়ে মন্ত্রী হতে চাইনি। নির্বাচনের একদিন আগেও আমি সাংবাদিকদের বলেছিলাম, আমি মন্ত্রী হতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি অভিনয় চালিয়ে যেতে চাই। আমার আরও অনেক টাকার প্রয়োজন। আমার রোজগার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
কে এই সদানন্দন মাস্টার, যাঁকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান সুরেশ? সদানন্দন দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি কুন্নুর জেলার প্রবীণ নেতা। ১৯৯৪ সালে রাজনৈতিক হিংসায় তাঁর দুই পা বাদ যায়। চলতি বছরের শুরুর দিকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই প্রবীণ বিজেপি নেতাকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য শুনে কার্যত অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।