এছাড়াও কেন্দ্র পরিচালিত তিনটি হাসপাতালকে আইসোলেশন সেন্টার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হাসপাতালগুলি হল- রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, সফদরজং হাসপাতাল, লেডি হারডিং। এই তিনটি নোডাল সেন্টারকে রাজধানীর বুকে প্রধান আইসোলেশন সেন্টার হিসাবে রাখা হয়েছে। এখানেই রোগীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পি কে মিশ্র রবিবারই একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন। মূলত এম-পক্সের সতর্কতা এবং তার প্রেক্ষিতে সরকারের প্রস্তুতি নিয়েই আলোচনা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় টাস্ক ফোর্স গঠন সুপ্রিম কোর্টের, বেঁধে দিল রিপোর্টের সময়
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত এম-পক্সের কোনও কেস গোটা ভারতে নথিভুক্ত হয়নি। এছাড়াও এই রোগের ছড়িয়ে পড়ার হারও বেশ কম।
ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), এম-পক্সকে আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা বলে জানিয়েছে। আফ্রিকার বহু দেশেই এই ভাইরাস নিজের থাবা বসিয়েছে বলে হু জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে আপাতত দেশের মোট ৩২টি পরীক্ষাগারে এম-পক্সের টেস্ট করা হয়। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব আরও জানিয়েছেন, কোনওভাবেই এই ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সচেতনামূলক প্রচারের মাধ্যমেও এই ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তোলা হচ্ছে।
হু জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বজুড়ে মোট ৯৯ হাজার ১৭৬টি এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। এম-পক্সে মারা গিয়েছেন মোট ২০৮ জন। ২০২২ পর্যন্ত মোট গোটা পৃথিবীর ১১৬টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে।