প্রসঙ্গত, দেশের প্রবল খারাপ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। সেই বৈঠকেই তিনি দাবি করেন, টিকার চাহিদার কথা মাথায় রেখেই জোগান বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রেই আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই ৫১.৬ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন ছাড়াও রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও চারটি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে কেন্দ্র চিন্তাভাবনা করছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
advertisement
ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত আকাল নিয়ে যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে বিরোধীরা, তখন নীতি আয়োগের তরফেও জানানো হয়েছে, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের ৮০ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত হলে অনেকটাই কেটে যাবে সঙ্কট। যদিও বিরোধীদের কটাক্ষ, গোটা দেশ যখন সঙ্কটে, তখন দেশবাসীকে 'মিথ্যা' প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে মোদি সরকার।
তবে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল জানিয়েছেন, আগের দুটি ভ্যাকসিনের সঙ্গে এবার দেশের বাজারে মিলবে রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি (Suptnik V)-ও। একইসঙ্গে দেশের দুই ভ্যাকসিনের জোগানেও গতি আনা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি করা হবে, তার মধ্যে থাকবে ৭৫ কোটি কোভিশিল্ড ও ৫৫ কোটি কোভ্যাকসিন। থাকবে স্পুটনিক ভি'ও। নীতি আয়োগ সদস্য আরও জানান, '২১৬ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি হয়ে যাবে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে। তা দেশেই তৈরি হবে এবং সম্পূর্ণভাবেই দেশের মানুষের জন্য। আর পরের বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই সেই ডোজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩০০ কোটি!'