তবে দিল্লি হিংসা যেভাবে সরকারের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। এ দিন বিজেপি-র সংসদীয় দলের বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলের সাংসদদের শান্তি এবং সম্প্রীতি রক্ষা করতে উদ্যোগী হতে বলেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, 'উন্নয়নই আমাদের মন্ত্র। শান্তি, একতা এবং সম্প্রীতি উন্নয়নের প্রাথমিক শর্ত।'
সংসদের অচলাবস্থা কাটাতে এ দিন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও সর্বদলীয় বৈঠক করেন। সেখানে সতর্ক করে তিনি জানান, লোকসভার কাজে বাধা দিলে চলতি অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য অভিযুক্ত সাংসদদের সাসপেন্ড করা হবে।
advertisement
লোকসভার মতো এ দিন রাজ্যসভাও বেলা দুটোর পর মুলতবি করে দিতে হয়। এ দিন শুরু থেকেই সংসদের দুই কক্ষেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিক শাহের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন বিরোধীরা। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, গৌরব গগৈরা মুলতবি নোটিস আনেন। রাজ্যসভাতেও কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, বিএসপি-র সতীশ মিশ্ররা অধিবেশনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ দেন।
চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনায় রাজি হয় সরকার পক্ষ। কিন্তু তার জন্য সময় কেনার কৌশল নেয় তারা। হোলির আগে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। সরকােরর এই শর্ত বিরোধীরা আদৌ মানবে কি না, সেটাই এখন দেখার। রাজনৈতিক মহলের মতে, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে হিংসা বিধ্বস্ত দিল্লি। আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পরেই সরকার তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় যেতে চাইছে।